× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ও তার পরিবারকে মিথ্যা হত্যা চেষ্টার মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কনস্টেবলের স্ত্রী রুনু সুলতানা। এ সময় তার দুই শিশু সন্তান ও মা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে রুনু সুলতানা জানান, ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পুলিশ কনস্টেবল মো. জহিরুল ইসলামের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তারা দুজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার শিবপুর গ্রামে। জহিরুল বর্তমানে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ছোটফুল পুলিশ লাইনে কর্মরত। তাদের সায়মা কুরসী নিহা (৮) ও মাহাদী কালবী আজীম (১৮ মাস) নামের দুই সন্তান রয়েছে। রুনু সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী জহিরুল ইসলাম তাদের দুই সন্তান ও তার ভারণপোষণ দিচ্ছেন না।
বিভিন্ন সময় ভরণপোষণ চাইতে গেলে দুই সন্তানকে অস্বীকার করেন। এসব বিষয় চট্টগ্রামের ডিআইজি এবং জহিরুল যেই এসপির অধীন কাজ করছেন তাকে লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত ঈদুল আজহার পরের দিন জহিরুল তার নিজের বাড়ি থেকে কোথাও গিয়ে তার পুরুষাঙ্গ সামান্য অংশ কেটে আনে। পরে তাকে এবং তার বৃদ্ধা মা ও দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার স্বাক্ষী ও বাদী জহিরুলের বানানো। এসব ঘটনার বিচার চেয়ে এসপির কাছে গেলে এসপি তার রুমে বসিয়ে রেখে পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেন। পরে তিনি শিশু সন্তানকে নিয়ে তিন মাস জেল খাটেন। জেল থেকে বের হওয়ার পরও জহিরুল কল করে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়গুলো উল্লেখ করে আইজিপি বরাবর অভিযোগপত্রও দেন তিনি। এখন দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে প্রতিমাসে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিসহ সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী এই নারী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, তার স্ত্রীর অভিযোগ মিথ্যা। তিনি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেননি। তার মা মামলা করেছেন। এবং সেটি সত্য মামলা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর