চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ আসর বসবে পাকিস্তানে। তারপর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আরেকটি আসর গড়াবে ভারতের মাঠে। তবে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক টানাপড়েন। তাছাড়া পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ আছে। তাই ভারত এ বছর এশিয়া কাপ খেলতে সেখানে যাবে কি-না তা নিয়ে রয়েছে দোলাচল। তবে পাকিস্তান জানিয়েছে এশিয়া কাপে ভারত অংশ না নিলে তারাও পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বর্জন করবে।
পাকিস্তান অবশ্য নিজেদের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে এবং নিজেদেরকে নিরাপদ প্রমাণ করতে সব রকম চেষ্টাই করে যাচ্ছে।
গেল বছরের শেষদিকে সেখানে দুই দফা সফর করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। বর্তমানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পরে আরো দুই দফা সফরে সেখানে দুটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলতে যাবেন মাহমুদুল্লাহ-তামিম ইকবালরা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান এক রকম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রতি। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের কাছে তিনি বলেছেন, এ বছর যদি ভারত পাকিস্তানে না যায়, তাহলে পাকিস্তানও আগামী বছর ভারতের মাটিতে খেলতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপ আয়োজনের জন্য আমরা এই মুহূর্তে দুটি ভেন্যুর কথা বিবেচনা করছি। যদি ভারত এশিয়া কাপের জন্য পাকিস্তানে না আসে, তাহলে সেখানে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাবো আমরা।’ অনেক নাটকীয়তা শেষে পাকিস্তান সফর করতে সম্মত হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের মধ্যস্থতায় তিন ধাপের সিরিজের সূচি চূড়ান্ত হয়।