× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোনালদোর ফিটনেস রহস্য

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

‘রোনালদো যেন পোর্ট ওয়াইন’- ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ চলাকালে এমন মন্তব্য করেন পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ ফার্নান্দো। সত্যিই তাই। পোর্ট ওয়াইনের মতোই যত পুরনো হচ্ছেন ততই যেন বিকশিত হচ্ছেন রোনালদো। ৩৪ বছর বয়সেও দারুণ ফিট তিনি। আর ক্ষীপ্রতা, গতি কোনো কিছুই কমেনি। গোলও পাচ্ছেন নিয়মিত। কীভাবে সবকিছু ধরে রেখেছেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার? তার ভক্ত সমর্থকদের মনে প্রশ্নটা জাগা স্বাভাবিক। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের পুরুষদের স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট মেনজ হেলথ ডটকম’র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে জুভেন্টাস তারকার ফিটনেস রহস্য।
খাবারের ক্ষেত্রে রোনালদো অনুসরণ করেন ‘লিটল অ্যান্ড অফেন’ মেথড।
তার খাদ্য তালিকায় থাকে তাজা ফলমূল, সোর্ডফিশ, কড এবং অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ, শস্যজাতীয় খাবার। সঙ্গে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সালাদ। এতে তার বডি ফ্যাট থাকে খুব নীচে। ৩-৪ ঘণ্টা অন্তর অন্তর একটা সুশৃঙ্খল খাদ্যাভাসে নিজেকে অভ্যস্ত করেছেন রোনালদো। তার তার মেটাবলিজম সবসময় উঁচু থাকে। ‘সিআরসেভেন’ খ্যাত রোনালদো তার সকালে নাস্তার মেন্যুতে রাখেন চিজ, কম ফ্যাটযুক্ত মাংস, কম ফ্যাটযুক্ত ইয়োগার্ট ও ফলমূল। বিশেষত আভোকাডো। রোনালদোর সতীর্থরা জানান, তিনি কার্বোনেটেড সফট ড্রিংকস এবং হিমায়িত খাবার, লাল মাংস এড়িয়ে চলেন।
অন্যান্য পেশাদার ক্রীড়াবিদের মতো রোনালদোও পর্যাপ্ত রেস্ট নেন। ২০১৯ সালে ৩১ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করা এই ফুটবলার তার ডেইলি রুটিনে রেখেছেন ‘ওয়ান ওয়ার ন্যাপ’। গ্রিসের আক্সলেপিয়ন অংশষবঢ়রবরড়হ হাসপাতালের গবেষণায় দেখা গেছে, দিনের বেলা এক ঘণ্টা ঘুমালে ব্লাড প্রেসার নিচের থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক কমে যায়। প্রাক-মৌসুমটা ফিটনেসের জন্য খুব গুরুত্ব দেন রোনালদোর। দেখা যায়, ছুটি কাটিয়ে ফেরার পর অনেকেই মুটিয়ে গেছেন। রোনালদো বলেন, প্রি-সিজনে যখন আমরা সবাই ছুটি কাটিয়ে ফিরি, আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। দিনে একটির বেশি ট্রেনিং সেশন থাকতে পারে। সঙ্গে স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং ক্যাম্প। আমি ডায়েটে নজর দেই। অ্যালকোহল, চিনিসমৃদ্ধ সোডা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করি।
ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে তাকে বিভিন্ন পার্টিতে দেখা যেত রোনালদোকে। কিন্তু ধীরে ধীরে এসব থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। পরিবারের সঙ্গেই বেশি দেখা যায় তাকে। সুযোগ পেলেই ছেলে-মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যান। সুখী পারিবারিক জীবনও রোনালদোর ক্যারিয়ারে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর