× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে আবারো চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

মুজিববর্ষের বিশেষ আসর। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের চেষ্টা ছিল আসর জুড়ে। ব্রাজিলিয়ান সাবেক তারকা গোলরক্ষক হুলিও সিজারকে টুর্নামেন্টের প্রচারণায় এনেছিল বাফুফে। তবে এসব ছাপিয়ে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার মধ্যদিয়ে। আফ্রিকান দল বুরুন্ডির কাছে ৩-০ গোলে হেরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। সেই বুরুন্ডিকে উড়িয়ে দিয়েই মুজিববর্ষের প্রথম আয়োজন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা জিতেছে ফিলিস্তিন। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। ২০১৮ সালে জেতা ট্রফিটি ছিল ফিলিস্তিনির প্রথম দেশের বাইরে কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ফিলিস্তিন হলো প্রথম দল যারা টানা দুইবার জিতলো এই টুর্নামেন্ট। এর আগে মালয়েশিয়া থেকে আসা দুটি দল নিয়ে গেছে জাতির পিতার নামের এ ট্রফি। ১৯৯৭ সালে প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মালয়েশিয়া লাল এবং ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২২ দল। খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয়া বুরুন্ডি সুবিধা করতে পারেনি তাদের চেয়ে কাগজ-কলমে এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে। প্রথমার্ধেই ৩ গোল খেয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় আফ্রিকার দলটি । দ্বিতীয়ার্ধে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফিলিস্তিনকে ভালোভাবেই চেপে ধরেছিল বুরুন্ডি। একটি গোল করে ব্যবধানও কমিয়েছিল। কিন্তু রক্ষণ জমাট করে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করা ফিলিস্তিন বুরুন্ডিকে দ্বিতীয় গোলের উৎসব আর করতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দলটিই করে শিরোপা উৎসব। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল থেকে এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যে যে লড়াই শুরু হয়েছিল তাতে জিতলো স্বাগতিক মহাদেশের দেশটিই।
এদিনে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোল- একটি দলের স্পিরিট বাড়ানো জন্য যা যথেষ্ট। সেই কাজটি করেছিলেন ফিলিস্তিনের খালেদ সালেম। অধিনায়ক সামেহ মারাবার ক্রস থেকে সালেমের প্লেসিংয়ে ফিলিস্তিন এগিয়ে যায়। অধিনায়ক মারাবা নিজেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দশম মিনিটে। ২৬ মিনিটে খারুব গোল করে ব্যবধান ৩-০ করলে বড় স্বস্তি নিয়েই বিরতিতে যায় ফিলিস্তিন। জিততে হলে চাই চার গোল। আর ম্যাচটাকে অন্তত অতিরিক্ত সময়ে টেনে নিতে চাই কমপক্ষে ৩ গোল-এমন সমীকরণ নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ যেন শুরু করে নতুন এক বুরুন্ডি। ফিলিস্তিনের রক্ষণে মনোযোগের সুযোগে আফ্রিকার দেশটিই বেশি সময় পার করে প্রতিপক্ষের বক্সের আশপাশে। কিন্তু ৬০ মিনিটে নিদিকুমানার গোলে ব্যবধান কমানো ছাড়া ফিলিস্তিনকে আর বিপদে ফেলতে পারেনি আগের তিন ম্যাচে ১০ গোল করা দলটি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর