× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্যাটিংয়ের একই হাল

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার

আগের দিন ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ১৫ রান কম হওয়ার আক্ষেপ ঝরেছিল মাহমুদুল্লাহর কণ্ঠে। ওই ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার কথাও বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি। উল্টো ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, খেলাটা যে টি-টোয়েন্টি সেটাই তারা ভুলে গেছেন। আগের দিনের মতো কালও আগে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। ভেন্যু সেই একই লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম, উইকেটের আচরণও ছিল এক। অনেকটা দেশের উইকেটের মতোই। মন্থর ও নিচু বাউন্সের।
পাকিস্তানের সাবেকেরা উইকেটের যত সমালোচনাই করুক, এমন উইকেট বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে অন্তত অচেনা নয়; বরাবরই এমন উইকেটে খেলে অভ্যস্ত তামিম-লিটনরা। যদিও ব্যাটিং দেখে তা বোঝা যায়নি। প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৩৫। গতকাল আরও বাজে। ২ উইকেট হারিয়ে ৩৩। প্রথম ম্যাচে স্লো ব্যাটিংয়ের বড় উদাহরণ সৃষ্টি করে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৪১ রান। কাল দ্বিতীয় ম্যাচে একই মাঠে টাইগাররা স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে কেবল ১৩৬ রান। উইকেট হারায় ৬টি। ৫৩ বলে সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার তামিম ইকবাল।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উইকেট এদিনও মন্থর আচরণ করেছে। পাকিস্তানের বোলারদের ছোট ছোট সুইং, বাউন্স বিপাকে ফেলেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। প্রচুর ডট খেলেন তারা। আগের দিন ডটবল ছিল ৪৫। আর গতকাল বাংলাদেশের ইনিংসে ৪৭টি ডটবল। তাতে রানের চাকা সচল থাকেনি গোটা ইনিংসের কোনো অংশেই। প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৭ রান তোলা বাংলাদেশ পরের ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে যোগ করে ৬৯ রান। আগের দিন বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি টিকেছিল ১১ ওভার। স্কোরবোর্ডে উঠেছিল ৭১ রান। এদিন উল্টো চিত্র। মোহাম্মদ নাঈম ফেরেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। শাহিন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরে একটু লাফিয়ে ওঠা বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান নেন সহজ ক্যাচ। গোল্ডেন ডাকের স্বাদ নিয়ে নাঈম যখন ফেরেন, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ রান। মোহাম্মদ মিঠুনের পরিবর্তে একাদশে ঢোকা মেহেদী হাসান নেমেছিলেন তিনে। ২০১৮ সালের পর ফের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা এই তরুণ ১ ছক্কা হাঁকিয়ে বিদায় নেন ১২ বলে ৯ রান করে। মোহাম্মদ হাসনাইনের বাউন্সার পুল করতে গিয়ে তিনি ক্যাচ দেন রিজওয়ানের হাতে। নাঈম-মেহেদীর উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ তোলে ৩৩ রান। আবারও ব্যর্থ হন লিটন দাস। ডট বলে চাপ বাড়িয়ে শাদাব খানের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান তিনি। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ৮ রান। অষ্টম ওভারে ৪১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশের হয়ে প্রতিরোধ গড়েন তামিম ও আফিফ হোসেন। চতুর্থ উইকেটে ৪২ বলে তারা যোগ করেন ৪৫ রান। হাসনাইনের দ্বিতীয় শিকার হন আফিফ। ১ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে ২১ রান করেন এই বাঁহাতি। তামিম ইকবাল একপ্রান্ত আগলে তুলে নিয়েছিলেন হাফসেঞ্চুরি। এরপর ইঙ্গিত দিলেন হাত খোলার। কিন্তু তার লম্বা সময় ক্রিজে থাকার সমাপ্তি হলো বাজে রানআউটে। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই নিতে পারলেন না দায়িত্ব। ব্যাটিংয়ে আরেকটি হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখিয়ে পাকিস্তানকে মামুলি লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। ১৮তম ওভার পর্যন্ত টিকে থাকা তামিম ৫৩ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ১ ছয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর