যৌতুকের দাবিতে উল্লাপাড়ায় এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্লাপাড়া উপজেলার নতুন চাঁদপুর গ্রামের নবীর উদ্দীনের মেয়ে মদিনা আক্তার নদী তার স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। স্বামী ইতিমধ্যে নদীকে তালাকের চিঠি পাঠিয়েছে। মদিনা আক্তার অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ১৪ই এপ্রিল উল্লাপাড়া উপজেলার গাড়লগাঁতী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এহিয়া আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে তার স্বামী তাকে তার বাবার বাড়ি থেকে দেড় লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে এনে দিতে চাপ দেয়। কিন্তু মদিনা আক্তারের বাবার পারিবারিক অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় এই দাবি পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে বিগত সময়ে তাকে অনেকবার অমানুষিক নির্যাতন করে স্বামী এহিয়া। গত সপ্তাহে একই কারণে স্বামী তার শাশুড়ি ও স্বজনদের নিয়ে তাকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পেটায় এবং এক পর্যায়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এরপর স্বামী তাকে তালাক দিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। বর্তমানে মদিনা ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। নিরুপায় হয়ে মদিনা আক্তার নদী গত ২রা জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে স্বামী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মদিনা তার স্বামীর উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন এই মামলায়। ইতিমধ্যে আদালত থেকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে। উল্লাপাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই মামলার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে মদিনা আক্তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ১ বছরের মধ্যে স্বামীর তালাকনামা কার্যকর হবে না। কয়েকদিনের মধ্যেই আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।