ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কারণে আমাকে ধানের শীষ মার্কা নিয়ে সংসদে আসতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। গতকাল সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কী হয়েছে জানি না, কিন্তু আমার আসনে সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। প্রতিকূল অবস্থা থেকে আমার ভোটাররা ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়েছে। চিরজীবন নৌকা নিয়ে চলেছি, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কারণে আমাকে ধানের শীষ মার্কা নিয়ে সংসদে আসতে হয়েছে। কারণ ২০০৮ সাল থেকে আমি রাজনৈতিক কারাগারে ছিলাম। ধানের শীষ মার্কায় ভোট করলেও মুজিব কোর্ট পরে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ভোট চেয়েছি। যারা সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হিটলার ও ভারতের চর বলেছিল, তারাও এখন দেখি নৌকা নিয়ে সংসদে।
যে অবস্থানেই থাকি না কেন যতদিন বেঁচে থাকবো বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করেই চলবো। সবাইকে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় স্লোগান জয় বাংলাকে মেনে নিয়েই রাজনীতি করতে হবে। তিনি বলেন,১৯৮৯ সালে বঙ্গবন্ধুর ছবি তিনি ডাকসু কার্যালয়ে টাঙান। তবে দুজন তাকে এ নিয়ে গুলি করতে গিয়েছিল। কিন্তু তবুও তিনি ছবি নামাননি। সুলতান মনসুর বলেন, এদেশের রাজনীতিতে ঢাকসুর ভিপি হিসেবে যে নীতি নিয়ে চলেছিলাম আজও তাতেই আছি। এসময় মুজিব বর্ষে দুর্নীতিকে মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর আত্মাকে শান্তি দেবার আহ্বান জানান সুলতান মনসুর। তিনি বলেন, মুজিব কোর্ট পরলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করা যায় না। অথচ আজ প্রায় অনেকই দেখি সে কোর্ট পরতে। তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট যদি বন্ধ না করা যায় তাহলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে না। শুধু শেখ হাসিনা একা কি করবেন, সবাইকে জনমুখি, মানব প্রেমী হতে হবে। যে লক্ষ্যে ২০ লাখ শহীদ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন তাদের আত্মা যাতে শান্তি পায় মুজিব বর্ষে এটাই হওয়া উচিৎ আমাদের আদর্শ।