সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক বকুল হায়দার বকুল হত্যা মামলার রহস্য গত প্রায় ৩ মাসেও উৎঘাটন হয়নি। তবে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
এ খুনের ঘটনার পর নিহতের ছেলে মেহেদী হাসান সাগর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। শুরুতেই মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর হাসান বাছির মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর হাসান বাছির রোববার জানান, হত্যাকা-ের পর রাজনীতিক দ্বন্ধ, পুর্ব শক্রতা বা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং পরকীয়া সর্ম্পক এ ৩টি বিষয়কে সামনে রেখে মামলার তদন্ত শুরু করা হয়। এ অবস্থায় ৮জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের মধ্যে ঘটনার সময় বকুলকে বহনকারী মটর সাইকেলের চালক রফিকুল ইসলামসহ ৬জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। তারা পুলিশের কাছে সন্দেহভাজন হলেও কেউই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি।
এছাড়াও আরও কয়েকজনকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোন তথ্য না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, তদন্তে মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে সে তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
ডিবি পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান জানান, ২৯শে ডিসেম্বর ডিবির ওসির দায়িত্বে এসেছি। বকুল হত্যা মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত সময়ে মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
প্রসঙ্গত, ২রা নভেম্বর সন্ধ্যার পর মটর সাইকেলযোগে যাবার সময় সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কের দত্তবাড়ি ব্রীজের কাছে শর্টগানের গুলিতে খুন হন বকুল হায়দার বকুল (৫২)। সে উপজলোর বাগবাটি ইউনিয়নের দত্তবাড়ি গ্রামের মৃত হযরত আলী মুন্সীর ছেলে। তিনি ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। ঘটনার পর পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছিলেন, খুব কাছ থেকে গুলি করে বকুলকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা জড়িত থাকতে পারে। কিন্ত সন্দেহভাজন আসামী হিসাবে বর্তমানে যে ৬ জন কারাগারে রয়েছে, তারা কেউই বহিরাগত নয় স্থানীয়।