প্রায় ৩ বছর আগে এইচএসসি শেষ করে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিলো উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের শাহাজুদ্দিনের ছেলে সোহাগ (২৪)। মালদ্বীপের একটি রিসোর্টে কর্মরত ছিলেন তিনি। নিতান্তই দরিদ্র পরিবারের সন্তান সোহাগ চেষ্টা করে যাচ্ছিল দিন বদলে দেয়ার। তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। এরমধ্যে গত ২৩শে জানুয়ারি তার নিজ কক্ষ থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে। ডাক্তার বলেছে, স্টোকজনিত কারণে মারা গিয়েছেন তিনি। কিন্তু সোহাগের মরদেহ দেশে আনা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। সোহাগের আকামার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মালদ্বীপে অবৈধ হিসেবে ছিলেন তিনি।
তাই সহসাই মিলছে না সরকারি সহযোগিতা। ব্যক্তি উদ্যোগে তাঁর লাশটি দেশে আনতে যে টাকার প্রয়োজন তা দেয়ার সামর্থ্য নেই পরিবারের। সোহাগের চাচা আলম হোসেন জানান, সরকার যদি নিজ খরচে সোহাগের লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা না করে তাহলে সোহাগের লাশ দেশে আনা একদমই অনিশ্চিত। এদিকে ছেলের মৃত্যুর সংবাদে শোকে পাথর তার পরিবার। কেঁদে কেঁদে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন সোহাগের মা। কারও সাথে কথাও বলছেন না। ঘুম খাওয়া সব যেন হারাম। সোহাগের বাবা শাহাজুদ্দি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার ছেলে দেশে আসার জন্য ৫০ হাজার টাকা চাইছিলো। বাড়িতে ঘরের কাজ শুরু করায় হাতে টাকা ছিলো না। তাই ছেলে আমার অভিমান করে বলেছিলো এক জায়গায় কাজ নিছি কিছু টাকা হলেই দেশে ফেরত আসতাছি।