× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বানিয়াচংয়ে পলো বাইচ উৎসব

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে
২৮ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পলো বাইচ প্রতিযোগিতা। সোমবার সকালে বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়া গ্রামের ‘বড়আন বিলে’ হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে শুরু হয় পলো বাইচ উৎসব। এ উৎসবে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নানা বয়সের কয়েক’শ মানুষ পলো নিয়ে মাছ শিকারে অংশ নেন। দিনভর বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ছেলেবুড়ো সকলেই মেতেছিলেন পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসবে। বানিয়াচংয়ে রয়েছে নদী-নালা, খাল-বিল ও হাওর-বাওর। শীত মৌসুম হওয়ায় শুকিয়ে যাচ্ছে খাল বিলের পানি। এসব শুকনো জলাশয়ে প্রতি বছরের পৌষ মাস থেকে ফাগুন মাস পর্যন্ত চলে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের পলো বাওয়া উৎসব। প্রতিবছর শিকারীরা ঐক্যবদ্ধভাবে দল বেঁধে উৎসবমুখর পরিবেশে পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নেন।
পলো বাওয়া উৎসবের বৈশিষ্ট্যই হলো দল বেঁধে পলো নিয়ে মাছ ধরতে ঝাঁপিয়ে পড়া। উৎসবের দিন নিজ নিজ পলো, হাতাজাল, উড়াল জালসহ নানা ধরনের মাছ ধরার জিনিসপত্র নিয়ে মাছ শিকারীরা মিলিত হন এই বড়আন বিলে। দেশীয় প্রজাতির শৈল, গজার, বোয়াল, মাগুর মাছসহ নানা প্রজাতরি মাছ ধরা পড়ে পলো বাওয়া উৎসবে।
 পলো বাওয়া দেখতে আশেপাশের গ্রামের শ’ শ’ নারী পুরুষ ভিড় জমায় এ বিলে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় আমরা গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে ওই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকি। হারিয়ে যাওয়া বাঙালি ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে নদীমাতৃক প্রতিটি এলাকাতে ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসবের আয়োজন করা উচিত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর