দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭৭ ম্যাচ খেলেছেন তুষার ইমরান। এতে তার সংগ্রহ ১১৭০৪ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯ হাজার রানের কৃতিত্বও নেই কারো। সর্বোচ্চ ৩১টি সেঞ্চুরিও তুষারের। বয়স এখন তার ৩৬ ছুঁয়েছে। কিন্তু অবসরে যাননি। কিন্তু সেই তুষার ইমরানই কোনো দলে জায়গা পাননি বিসিএলের অষ্টম আসরে। বিসিবির বেঁধে দেয়া ফিটনেস পরীক্ষায় উতরাতে না পারাটাই কারণ। তবে জানা গেছে এই আসরের আগে বিসিসিএলের জন্য করা তালিকায় রাখা হয়নি তাকে।
শেষ পর্যন্ত বিসিবির কর্তাদের কাছে অনুরোধ করে তিনি বিপ টেস্টে অংশ নেন। গতকাল দৈনিক মানবজমিনকে তুষার বলেন, ‘আমি কী বলবো আসলে বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলছি। আমার ফিটনেস ভালো না তারপরও আমি এত রান করে যাচ্ছি কিভাবে। বিপ টেস্ট আর মাঠের ফিটনেস এক নয়। কই আমার চেয়েও অনেক ভালো ফিটনেস নিয়েও তো কেউ এত রান করতে পারছে না। তাদের কি হবে? আমি স্বীকার করি যে অবশ্যই ফিটনেস প্রয়োজন সেই সঙ্গে পারফরম্যান্সও তো থাকতে হবে। আমি এতটা কষ্ট পেয়েছি যে বিকালেই বিমানে করে ঢাকা থেকে যশোর চলে এসেছি।’
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেন না দীর্ঘ দিন। তাই অবসরের চিন্তাই ছিল তার। সেই কারণে বিসিবির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ করেছিলেন, অন্তত ১২ হাজার রান করে তিনি মাঠ থেকে অবসরে যেতে চান। কিন্তু তা হচ্ছে না বলে ভীষণ হতাশ এই ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম মাঠ থেকেই অবসরে যেতে। কিন্তু তা মনে হয় হতে দিবে না। বিসিএলে না থাকায় অনুরোধ করেছিলাম যেন আমাকে আর ৩০০ রান করার সুযোগ দেয়। যেন আমি ১২ হাজার রান করে বিদায় নিতে পারি। কিন্তু আমাকে বলা হলো যেন একটি ম্যাচ খেলে মাঠ থেকে বিদায় নেই। আমিতো আসলে কারো দয়াতে এতদিন ধরে খেলছি না। আমার পারফরম্যান্সে খেলছি। তাই সুযোটা চেয়েছিলাম। কিন্তু জানিনা নির্বাচকরা দিবেন কিনা!’ এবারের বিসিএলে দল পাননি মার্শাল আইয়ুব, ইলিয়াস সানি, সোহাগ গাজী, নাদীফ চৌধুরীর পরীক্ষিত ক্রিকেটাররাও। কারণ তাদের কেউ ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করেননি!