× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কবিরহাটে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে গণধর্ষণ ৫ ধর্ষকের বিরুদ্ধে চার্জশিট, ৪ জনকে অব্যাহতি

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২৮ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

কবিরহাট উপজেলায় বিএনপি নেতার স্ত্রীকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে গণধর্ষণ মামলায় ৫ ধর্ষকের বিরুদ্ধে চার্জশিট ও ৪ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে পিবিআই। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ৯নং যুবলীগের সহ সভাপতি জাকের হোসেন জহির (৪০)’র নেতৃত্বে একদল লম্পট সন্ত্রাসী সিঁদ কেটে জেলে থাকা বিএনপি নেতা আবুল হোসেনের ঘরে ঢুকে থানা থেকে এসেছি বলে ভয় দেখিয়ে গৃহবধূ পারভীন আক্তার (২৯)’র শরীর চেক করার কথা বলে গায়ে হাত দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর কম্বল দিয়ে মুখ চেপে ধরে ৫ নরপশু পালাক্রমে ঘণ্টা ব্যাপী ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। গ্যাংরেফের ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে বিগত বছরের ১৯শে জানুয়ারি যুবলীগ নেতা মৃত এনামুল হক ও মাতা হালিমা খাতুনের পুত্র জাকের হোসেন জহির সহ সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে কবিরহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। ওসি (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করলে যুবলীগ নেতা জহির ১৬৪ ধারায় ৪নং আমলী আদালতে বিচারক উজমা শুকরানা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গণধর্ষণের মর্মান্তিক ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
একাধিক পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হলে মামলাটি বহুল আলোচিত হলে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে ডকেট ডিবিতে হস্তান্তর হয়। ডিবির ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে রিমান্ডে আনেন। পরে ফের মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর হয়।
পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার উল ইসলাম, জাকির হোসেন জহির, খুলনা ওয়ালাগো বাড়ীর মৃত অজি উল্যার পুত্র আবদুর রব হোসেন মান্না (২১), মফিজ উল্যা ও সুফিয়া খাতুনের পুত্র হারুন অর রশিদ (২৪), আবদুর রহিম ও মনোয়ারা বেগমের পুত্র জামাল উদ্দিন (৩১) ও ফেনী জেলার সোনাগাজি উপজেলার পশ্চিম সুজাপুর গ্রামের মো. ইসমাইল ও রেজিয়া বেগমের পুত্র জামাই সেলিমের বিরুদ্ধে গতকাল আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে। পিবিআই নোয়াখালীর ওসি মো: আনোয়ার উল ইসলাম তার তদন্ত রিপোর্টে আদালতকে জানায়, নোয়াখালী সদর হাসপাতালের ডাক্তার আকেফা জাহান ভিকটিমের ধর্ষণের আলামত ও সিআইডির ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় মিল না হওয়ায় গ্রেপ্তারকৃত মুরাদুজ্জামান মুরাদ (৪০), মোহাম্মদ ফয়সাল আজাদ (৪৫), মো. ইব্রাহীম খলিল (৪২) ও পলাতক আসামি জিয়াউলকে অব্যাহতি দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর