× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জি কে শামীমের বিচার শুরু

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক:
(৪ বছর আগে) জানুয়ারি ২৮, ২০২০, মঙ্গলবার, ৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

যুবলীগ নেতা পরিচয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে আসা জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রবিউল আলম আজ মঙ্গলবার এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ২৬শে ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।

জি কে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম এ সময় আদালতে কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

বিচারক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে জানতে চান- তারা দোষী না নির্দোষ। উত্তরে তারা সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সালাউদ্দিন হাওলাদার। অন্যদিকে জিকে শামিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শওকত ওসমান।

শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। গণপূর্ত ভবনে ঠিকাদারি কাজে তার দাপটের খবর বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।

র‌্যাব সদর দপ্তর, সচিবালয় ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ রয়েছে শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে রয়েছে। এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে গতবছর ২০শে সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র‌্যাব।
ওই ভবন থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে। তখনই শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র‌্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়। প্রত্যেক মামলাতেই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মামলা হওয়ার এক মাসের মাথায় গতবছর ২৬শে অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় শামীম ও তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। সেখানে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত ‘চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়ার ব্যবসায়ী’ হিসেবে পরিচিত। তার অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও তিনি শর্ত ভঙ্গ করে তা অবৈধ কাজে ব্যবহার করে আসছিলেন।

তার দেহরক্ষীদের উচ্চ বেতনভোগী ‘দুষ্কর্মের সহযোগী’ হিসেবে বর্ণনা করে অভিযোগপত্রে বলা হয়, তারা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন বড় বড় টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর