× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পুঁজিবাজারে আস্থা পাচ্ছে না বিনিয়োগকারীরা

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৯ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার

প্রধানমন্ত্রীর একগুচ্ছ পদক্ষেপের পর কয়েকদিন পুঁজিবাজার চাঙাভাব থাকলেও সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন এসে দরপতন ঘটেছে। সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসই’র প্রধান সূচক ৩৫.১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৯৩ পয়েন্টে। আর সিএসইতে সূচক ১৩৬.৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৬৫৬.৪১ পয়েন্টে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত কয়েক দিনে বাজার মূলধন ও মূল্যসূচক বেড়ে শেয়ারবাজার ইতিবাচক হয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা এখনো আস্থা পাচ্ছে না। এখনো শঙ্কা রয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদে বাজার স্থিতিশীল করার জন্য বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে হবে।
তারা বলেন, পুঁজিবাজারে শেয়ারের মূল্য সংশোধন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক পদক্ষেপের ফলে পুঁজিবাজারে প্রায় ৫০০ পয়েন্ট সূচক বেড়েছিল। বেশকিছু শেয়ারের দাম স্বল্প সময়ে অনেকটা বেড়েছিল। যাদের হাতে এই শেয়ার গুলো ছিল তারা এখন বিক্রি করে মুনাফা নিয়েছেন। ফলে বিক্রির চাপে শেয়ারের দাম কমেছে, সূচক কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দিনের লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়। দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৫টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এ দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৯৩ পয়েন্টে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবক’টি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। যেখানে রোববার লেনদেন হয়েছে ৪৭৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস।
অন্যদিকে সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৩৬.৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৬৫৬.৪১ পয়েন্টে। সিএসইতে ১২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। রোববার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি ২ লাখ টাকা। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৪৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৮টির, কমেছে ১৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির দর। এর আগে শেয়ারবাজার টেনে তুলতে ৬টি উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত ৭ কার্যদিবসে বাজার ইতিবাচক হয়েছে। কিন্তু লেনদেনে তেমন গতি আসেনি। ফলে বিনিয়োগকারীদের শঙ্কা কাটেনি।

বিশ্লেষকরা বলেন, শেয়ারবাজারে যখনই বড় সংকট তৈরি হয়েছে, তখনই কিছু সাময়িক প্রণোদনা দিয়ে বাজারে সূচক বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রণোদনার সুফল সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পায়নি। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, মূল সমস্যা হল এই বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই। আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের নিশ্চয়তা দিতে হবে, কারসাজির মাধ্যমে কেউ তার পুঁজি হাতিয়ে নিলে তার বিচার হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর