× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রিফাত হত্যা / মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ের তথ্য আদালতে জানালেন কাজি

বাংলারজমিন

বরগুনা প্রতিনিধি
২৯ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ও এ হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত নয়ন বন্ডের বিয়ের কাজি মো. আনিচুর রহমান।

মঙ্গলবার আদালতে আরো সাক্ষ্য দেন মামলার অপর দুই সাক্ষী মো. কামাল হোসেন এবং মিনারা বেগম। এ নিয়ে মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে ২৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেছেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রিফাত হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মজিবুল হক কিসলু বলেন, মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ের কাজি মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য দেয়ার সময় মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ের কাজি মো. আনিচুর রহমান আদালতে বিয়ের রেজিস্টার বালাম উপস্থাপন করেন। এটি গ্রহণ করেন আদালত।
এ বিষয়ে কাজি আনিচুর রহমান আদালতে বলেন, ২০১৮ সালের ১০ই অক্টোবর মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ে আমি সম্পন্ন করি। ওই দিন নয়ন বন্ডের কয়েকজন বন্ধু আমাকে নয়ন বন্ডের বাসায় নিয়ে যায়। তখন বাসায় নয়ন বন্ডের মা এবং মিন্নিসহ অনেক লোক উপস্থিত ছিলেন। নয়ন বন্ডের বাসায় বসেই পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ে দেই আমি।

বিয়ে সম্পন্ন করার পর আমি জানতে পারি মিন্নি বরগুনা পৌরসভার আবু সালেহ কমিশনারের ভাইয়ের মেয়ে।
তখন আমি সালেহ কমিশনারকে আমার মোবাইল থেকে কল দিয়ে মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ের খবর জানাই। তিনি আমাকে বিয়ের কথা গোপন রাখতে বলেন। এরপর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরও আমাকে ফোন করে বিবাহের বিষয়টি গোপন রাখতে অনুরোধ করেন।

আনিচুর রহমান আদালতে আরও বলেন, পরে আমি জানতে পারি কুমারী পরিচয়ে রিফাত শরীফের সঙ্গে মিন্নির বিয়ে হয়েছে। রিফাত শরীফের সঙ্গে বিয়ের পরদিন মিন্নির বাবা আমাকে ফোনে বলেন, মিন্নি ও নয়ন বন্ড আগামীকাল আপনার কাছে যাবে। আপনি তাদের ডিভোর্স করিয়ে দিয়েন। কিন্তু মিন্নির বাবার কথা অনুযায়ী ওই দিন তারা আমার কাছে আসেনি। এর পরদিন ফোন করে আবারও আমাকে একই কথা বলেন মিন্নির বাবা কিশোর। ওই দিনও ডিভোর্সের জন্য মিন্নি ও নয়ন বন্ড আমার কাছে না আসায় মিন্নির বাবাকে ফোন দেই। তখন মিন্নির বাবা আমাকে বলেন, ওরা দুজনে কমিটমেন্ট করেছে বিয়ের কথা কাউকে জানাবে না। গোপন রাখবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর