× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিসিএল-এ ক্রিকেটারদের মনোযোগ চান কোচরা

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার

বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) ৮ম আসর শুরু হচ্ছে শুক্রবার। দেশের একামাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রথম শ্রেণির চারদিনের এই লীগের গুরুত্ব আলাদা। কিন্তু শুরুর পর থেকে এ আসর খুব একটা সাফল্যের মুখ  দেখেনি। চারটি দলের তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি নেমে এসেছে দুটিতে। দক্ষিণ অঞ্চল ছেড়ে গেছে করপোরেট প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংক। তবে এখনো পূর্বাঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজি ধরে রেখে ইসলামী ব্যাংক। বাকি দুটি দলের মালিক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। লীগ শুরুর মাত্র তিন দিন আগে ড্রাফটের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
এতো দ্রুত সময়ে প্রস্তুতি নেয়া কঠিন বলে মনে করেন দলীয় কোচরা। বিসিবি নর্থ জোনের কোচ মিজানুর রহমান, ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের জাফরুল এহসান, ও ইসলামী ব্যাংক ইস্টজোনের আবদুর করিম জুয়েলের মত- কঠিন হলেও মানিয়ে নিতে হবে ক্রিকেটারদের। সঙ্গে চারদিনের ম্যাচে ক্রিকেটারদের মনোযোগও বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তারা। এ বিষয়ে উত্তরাঞ্চলের প্রধান বলেন, ‘দ্রুত প্রস্তুতি নেয়া সত্যি চ্যালেঞ্জের। বিসিএলে খেলবে প্রায় সব ক্রিকেটারই বিপিএলে টি-টোয়েন্টি খেলেছে। এমনকি জাতীয় দলের ক্রিকেটারাও পাকিস্তান থেকে টি-টোয়েন্টি খেলে ফিরেছে। তবে এই চ্যালেঞ্জটা তাদের নিতে হবে। যেহেতু সেরা ক্রিকেটাররাই খেলবে তাই তাদের কাছে দ্রুত মানিয়ে নেয়ার আশা করতেই পারি।’
চ্যালেঞ্জ নেয়াই ক্রিকেটারদের কাজ: জাফরুল এহসান
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল দলটির কোচের দায়িত্ব পালন করছেন জাফরুল এহসান। তিনি মনে করেন তড়িঘড়ি করে শুরু হওয়া বিসিএল-এ মানিয়ে নেয়াটাই আসল কাজ ক্রিকেটারদের। তিনি বলেন, ‘একটু তাড়াহুড়া করে শুরু হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্রিকেটারই টি-টোয়েন্টি খেলে এসেছে। কিন্তু কঠিন হলেও ক্রিকেটের এক ফরম্যাট থেকে আরেক ফরম্যাটে মানিয়ে নেয়াটাই আসল কাজ। এখন আন্তুর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা এতটাই বেড়েছে যে আপনাকে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি একটির পর একটি খেলতে হয়। তাই এটিকে কঠিন ভাবলে হবে না।’ অভিজ্ঞ এই কোচ বিসিএল’র উইকেট নিয়েও ভাবছেন। তিনি বলেন, ‘দেখুন, এবার শেষ এনসিএল-এ দারুণ উইকেট ছিল। আমি চাই তেমন উইকেট দেয়া হোক বিসিএলেও। সাধারণ মানের উইকেট দিলে ব্যাটসম্যান-বোলার কেউই ভালো করতে পারবে না। এমন উইকেট দিতে হবে যেনো বোলাররাও সুবিধা পায় আবার ব্যাটসম্যানরাও পায়। এক কথায় টেস্টের জন্য যেমন আদর্শ উইকেটে হয় যেমন। যেখানে আদর্শ উইকেট সম্ভব নয় সেখানে স্পিন অথবা পেস সহায়ক করা হোক। কিন্তু ফ্ল্যাট উইকেট যেনো না হয়।’
তামিমরা খেলবে এটাই আশা: আবদুল করিম জুয়েল
বিসিএল-এ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ তেমন একটা নেই। এমন অভিযোগে এ আসর থেকে নাম প্রত্যাহার করে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবার প্রথম দুই রাউন্ডে খেলার কথা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। প্রায় প্রতিটি দলেই আছেন দেশের সেরা ক্রিকেটাররা। ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলে খেলার কথা তামিম ইকবালের। তবে তিনি খেলবেন কি না তা বলেতে পারেননি দলের কোচ আবদুল করিম জুয়েল। তার আশা, তামিম ছাড়াও প্রতিটি দলে জাতীয় দলে ক্রিকেটাররা খেলবেন। জুয়েল বলেন, আমি মনে করি, বিসিএলের মত আসরে তামিমসহ প্রতিটি জাতীয় দলের ক্রিকেটারের খেলা উচিত। কারণ এখানেই তাদের প্রস্তুতির অনেকটা হয়ে যাবে। আর আমার ক্রিকেটারদের প্রতি অনুরোধ ক্রিকেটে ভালো করতে হলে অবশ্যই বিসিএল’র মতো আসরে আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। নয়তো টেস্টে ভালো করা সহজ হবে না।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর