সড়ক নিরাপত্তা এখন আর মানবিক সমস্যা নয়, এটা এখন অর্থনৈতিক সমস্যা বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সৃজনশীল উদ্ভাবনের জন্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৫টি উদ্ভাবনী টিমকে পরুস্কৃত করা হয়। বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের যৌথ উদ্যোগে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে নজরুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুঘর্টনা নিরূপণে সৃজনশীল আইডিয়াগুলো কাজে লাগিয়ে দুঘর্টনা কমানো সম্ভব। বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের এ উদ্যোগ তরূণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
এ সময় বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টি উইং স্কেফার বলেন, সড়ক নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের সম্পর্ক রয়েছে। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের মতোই দারিদ্র্য আরো কমিয়ে আনতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়টি সরাসরি জড়িত। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতি বছর জিডিপির ৩ থেকে ৫ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্পন বলেন, বাংলাদেশে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু কিশোরদের মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। এ কারণে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি বর্তমানে উন্নয়নে বড় আল্যেচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমানে বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে দুর্ঘটনার জন্য আগে শুধু সড়কের দুর্দশার জন্য দায়ী করা হতো। তবে সচেতনতার মাধ্যমে সড়কের দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। চালকদের অদক্ষতা, ভুয়া লাইসেন্সে গাড়ি চালানো, লাইসেন্স প্রদানে দুর্নীতির কারণে প্রাণহানী কমানোর পথে বড় বাধা হয়ে আছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।