× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন / ‘আমার পছন্দকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি’

বিনোদন


২৯ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার

ক্লোজাআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গানে যাত্রা শুরু হয়েছিল সানিয়া সুলতানা লিজার। এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এগিয়ে গেছেন নিজের যোগ্যতা ও মেধাবলে। এরইমধ্যে বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত তিনি স্টেজে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শো করছেন। নিজের বর্তমান ব্যস্ততা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সানিয়া সুলতানা লিজা। তার সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন ফয়সাল রাব্বিকীন

কি খবর? দিনকাল কেমন কাটছে?
বেশ ভালো।
তবে প্রচুর ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় কাটছে।
ব্যস্ততা কি নিয়ে?
গান নিয়ে অনেক ব্যস্ততা যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সময় দিচ্ছি স্টেজে। এখন তো শীতের মৌসুম। বিভিন্ন স্থানে শো আয়োজিত হচ্ছে। আমি টানা শো করছি। নিজের জন্য সময় বের করারও ফুরসত নেই। গত কিছুদিনে মাদারীপুর, বেনাপোল, মানিকগঞ্জ, সিলেট, সাভার, ফেঞ্চুগঞ্জসহ দেশের অনেক জায়গায় শো করেছি। এই শো এর ব্যস্ততা চলবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরমধ্যেই সময় সুযোগ পেলে রেকর্ডিং ও টিভি অনুষ্ঠানের শুটিং করছি।

গত বছর বেশ কিছু গান প্রকাশ হয়েছে। সাড়া কেমন মিলেছিল?
গত বছর আমি যে গানগুলো করেছি সেগুলো বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে ছিল না। আমার পছন্দকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। দেখলাম আমার পছন্দের সঙ্গে শ্রোতাদের পছন্দ মিলে গেছে। এ কারণে বেশিরভাগ গানের সাড়া ভালো মিলেছে। তবে এ গানগুলোকে আরো সময় দিতে হবে। এগুলো দীর্ঘদিন টিকে থাকার মতো গান।

নতুন বছরের পরিকল্পনা কি?
নতুন বছরটা গানে গানেই শুরু হয়েছে। এখনো গানের মধ্যেই আছি। স্টেজ শোর চাপটা খুব বেশি। তাই নতুন গানের পরিকল্পনা করতে পারছি না। তারপরও ইচ্ছে আছে এ বছর ভালো মানের কিছু গান করার। কথা-বার্তা হচ্ছে গান নিয়ে। ব্যাটে বলে মিলে গেলেই করবো। চলতি বছর নির্দিষ্ট সময় পর পর ভিডিওসহ আমার গান প্রকাশ হবে। আশা করছি গানগুলো ভালো লাগবে সবার।

সংগীতের অবস্থা এখন কেমন মনে হচ্ছে?
অবস্থা এখন মোটামুটি ভালো। ডিজিটালি গান প্রকাশ হচ্ছে। শ্রোতাদের জন্য গান শোনা সহজ হয়েছে। প্রযুক্তির ফলে আসলে গান দ্রুত পৌছে যাচ্ছে শ্রোতাদের কাছে। তবে এক্ষেত্রে একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কারণ এখন যে কেউ চাইলেই বিশ্বের যে কোনো শিল্পীর গান শুনতে পারছে। তাই ভালো গান তৈরি করেই দেশীয় শিল্পীদের টিকে থাকতে হচ্ছে। এ কারণে এখন মানের বিকল্প নেই। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি এখন ভালো গানে বিনিয়োগ করছে। অনেকে নিজের ইউটিউব চ্যানেলেও গান প্রকাশ করছে। আমি অন্য কোম্পনির বাইরে নিজের ইউটিউব চ্যানেলেও গান প্রকাশ করি। এ বছরও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আমি মনে করি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংগীতের অবস্থা আরো ভালোর দিকে যাবে।

গানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা মিলে কার কাছ থেকে?
পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া আমি এত দূর আসতে পারতাম না। এটা অনেক বড় একটা সাপোর্ট। আমার বাবা, মা ও ছোট ভাই আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়ে থাকে। এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।
এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। বিয়ের বাদ্য কবে বাজছে?
এটা বলতে পারি না। আর এখন বিয়ে নিয়ে ভাবছি না। কারণ অনেক ব্যস্ততা যাচ্ছে আমার। এখন গান নিয়েই কেবল ভাবছি। বিয়ে সময় হলেই হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর