সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের নতুন ব্রিজ থেকে শুরু করে রেলস্টেশন এলাকা এখন নেশাখোর ও ছিনতাইকারীদের দখলে রয়েছে। প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর এসব এলাকায় নেশাখোর ছিনতাইকারীদের আনাগোনা উদ্বেগজনক বেড়ে যায়। শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ সংলগ্ন গোলচত্বরটি মাদক, ইয়াবা, ছিনতাই, চোরাকারবারি প্রধান রোড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি। পেশাদার চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী, পাশাপাশি এ কাজে যুক্ত আছে পুলিশ বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্য। হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির নতুন কৌশল প্রয়োগ করে প্রায়ই পুলিশের নেতৃত্বে নতুন ব্রিজ এলাকায় মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ভারি যানবাহন ও পাথর বোঝাই ট্রাক আটক করে থানায় নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা আদায় করে কৌশলে ছেড়ে দেয় বলে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এমনকি পাথর বোঝাই ট্রাক হতেও হাইওয়ে পুলিশের মাধ্যমে গোপনে অবৈধ পাথর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সিলেট-ঢাকা খোয়াই নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজটিতে দিবারাত্রী পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটাতে আসতেন সাধারণ লোকজন।
কিন্তু বর্তমানে আর আগের মতো অবস্থা নেই। কোনো সুনির্দিষ্টি অভিযোগ না থাকায় পুলিশও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, সেই দলের লোকজন এবং পুলিশ ও সন্ত্রাসীর সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি নেই সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের। ব্যাপক অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে। অন্যদিকে মাতালদের পাশাপাশি আছে ছিনতাইকারীদের ব্যাপক উপদ্রব। সিলেট-ঢাকা শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন ও নতুন ব্রিজ সংলগ্ন গোলচত্বরটিতে শত শত যাত্রী বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। আর এই যাত্রীদের সুযোগমতো ছিনতাই করে ছিনতাইকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ফলে ছিনতাইকারীদের নিরাপদ স্থান হিসেবে ওই ব্রিজটি এবং রেলস্টেশনের পরিত্যক্ত বগিগুলো ব্যবহার হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ওই এলাকায় ছোট বড় বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে ঢাকা-সিলেট নতুন ব্রিজ চৌরাস্তাটি এখন মাদক চোরাচালান ও ছিনতাইয়ের প্রধান রোড হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। প্রতিদিন এ চৌরাস্তায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক বিশেষ করে ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজাসহ বহু ধরনের মাদক বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে এখানে জড়ো করা হয়। বিশেষ করে গভীর রাতে এই মাদক চালানগুলো আনা হয় এবং ভোর হবার আগেই শায়েস্তাগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হয়। সূত্রে জানা যায়, লাইনম্যান নামধারী এক শ্রেণির দালাল বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদা তোলে। অভিযোগ রয়েছে এসব ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজকে আশ্রয় দিচ্ছেন ক্ষমতাশালী স্থানীয় নামধারী কিছুসংখ্যক নেতা। প্রতিদিনই এই মাদক চোরাচালানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে আর এতে করে নতুন ব্রিজ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোন মাথাব্যথা নেই।