সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড-আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কের দুই পাশের প্রায় ৬ হাজার অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগ। উচ্ছেদে বাদ যায়নি বহুতল বাণিজ্যক ভবন, আবাসিক ভবন, গার্মেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চিটাগাং রোড থেকে আইইটি স্কুল রেললাইন পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কে অবৈধ স্থাপনার কারণে যানজট, জনদুর্ভোগ, পথচারী ভোগান্তি ছিল নিত্যদিনের। অথচ প্রভাবশালীরা সরকারি এই জমি দখল করে বছরের পর বছর আর্থিক সুবিধা ভোগ করে আসছিল। গত রোববার থেকে সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে অনেক অবৈধ দখলকারীরাও স্বেচ্ছায় তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে বহু বছর পর এমন উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় অধিবাসীরা। তাদের মতে, উচ্ছেদের পর এই জমি যানবাহন চলাচলের জন্য উপযোগী করে তুললে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে। এবং নতুন করে যাতে কেউ আবার দখল করতে না পারে এজন্য উদ্ধারকৃত জমি রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযানের আগে সওজ পত্রিকায় গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, মাইকিং ও গণ বিজ্ঞপ্তির প্রচারপত্র বিলি করেছিল। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সম্পত্তি ও আইন কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহাবুবুর রহমান ফারুকী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মনির হোসেন, মনির হোসেন-২, ফিরোজ আলম, ঢাকা জোন অফিসের সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের সার্ভেয়ার হুমায়ুন কবির, দেওয়ান মো. সোহাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবুর রহমান ফারুকী জানিয়েছেন, নিরাপদ সড়ক পরিবহন নিশ্চিতকরণে হাইকোর্টের ২৫ দফা নির্দেশনার ৩, ৪ ও ৫ম দফা বাস্তবায়ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম মানবজমিনকে জানান, আমরা গত দুইদিনে প্রায় ৬ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। বিদ্যুতের দুটি সাবস্টেশন রয়েছে। এগুলো সরাতে সময় লাগবে। তাদের এক মাস সময় দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, উচ্ছেদকৃত জমি আমরা সংরক্ষণ করবো। যাতে নতুন করে কেউ দখল করতে না পারে।