বরিশাল নগরীতে নির্মাণাধীন বিউটি সুপার মার্কেটের একাংশ ভেঙে ফেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ৭ দিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করে জবাব চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের রীট বেঞ্চের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাসুদ হাসান তালুকদারের দ্বৈত বেঞ্চ ওই রুল জারি করেন। বিউটি সুপার মার্কেটের চেয়ারম্যান কাজী মফিজুল ইসলাম হাইকোটের ওই বেঞ্চে এ মর্মে আবেদন করেন যে, কোন নোটিশ ছাড়া এবং মার্কেট কর্তৃপক্ষের আপীল নিস্পত্তি হওয়ার আগেই নির্মানাধীন ভবনটির একাংশ বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে ফেলে। কাজী মফিজুল ইসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান জানান, কাজী মফিজুল ইসলামের আবেদনের ওপর মঙ্গলবার শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে আদালত উপরোক্ত আদেশ দিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান আরো জানিয়েছেন, আবেদনকারীর পক্ষে আদালতের বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে শোকজ নোটিশ ওই চারজনকে পৌছে দেয়া হবে। এদিকে কাজী মফিজুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, হাইকোর্টের রুল জারির বিষয়টি মৌখিকভাবে বিসিসি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে গতকাল বুধবার থেকে বিউটি সুপার মার্কেটের একাংশ পুনরায় ভাঙ্গা শুরু করা হয়। বিসিসি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বিউটি সুপার মার্কেটের মালিক পক্ষ করপোরেশনের সড়ক দখল করে ভবনের একাংশ নির্মান করেছেন।
অপরদিকে বিউটি সুপার মার্কেট মালিক পক্ষের অভিযোগ, কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে মার্কেটের জমিতে নির্মান করা ভবনের একাংশ বিসিসি কর্তৃপক্ষ ভেঙে ফেলেছে।