মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালীগঙ্গা নদীতে অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের চারজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সরকারি কাজে বাধা, মারধর ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আইরিন আক্তারের নেতৃত্বে ইলিয়াস হোসেন, ফরিদ মিয়া, এনামুল হক ও শাহ আলম উপজেলার উত্তর তরা এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত জানতে পারেন, কেল্লা এলাকায় কালীগঙ্গা নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এরপর বিকাল পাঁচটার দিকে সেখানে গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অবৈধ বালু ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত মো. শরিফ, খোরশেদ আলম, মো. টুটুল, মোহাম্মদ আলী ও সদর উপজেলার দিঘী ইউপি সদস্য আবদুল ওহাবসহ ৫০-৫৫ জন দেশে তৈরি বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হামলা করেন।
এতে উপজেলা প্রশাসনের ওই চার কর্মচারী আহত হন। এ সময় ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুর এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ইউএনও আইরিন আক্তার বলেন, কালীগঙ্গা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এ বিষয়ে অভিযোগও করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্প পরিদর্শনের জন্য বানিয়াজুরী ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় যান। এ সময় এক ব্যক্তি তাকে মুঠোফোনে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের বিষয়টি জানালে তিনি পাশের কেল্লা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নৈশপ্রহরী শাহ আলম বাদী হয়ে শরিফ, খোরশেদ আলম, টুটুল, মোহাম্মদ আলী ও ইউপি সদস্য ওহাবসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় অজ্ঞাত আরো ৫০-৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।