কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ছফির উদ্দিন (৪৫) হত্যা মামলায় দুই সহোদরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের অপর দুই সহোদর ও মাসহ মামলার বাকি চার আসামিকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে পাঁচশ’ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে মামলার আসামিরা উপস্থিত ছিল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতরা হলো- করিমগঞ্জ উপজেলার হালঘড়া নোয়াবাদ গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. মানিক মিয়া (৩১) ও মো. হানিফ মিয়া (২৮)। এছাড়া কারাদণ্ডে দণ্ডিত অন্যরা হলো- মৃত হাফিজ উদ্দিনের অপর দুই ছেলে সাত্তার (৩৬) ও আবু সিদ্দিক (৩৩), স্ত্রী ফরিদা খাতুন (৫৪) এবং মৃত আব্দুছ ছমেদ মুন্সীর ছেলে হোসেন আলী মুন্সী (৬৬)। অন্যদিকে নিহত ছফির উদ্দিন একই গ্রাম হালঘড়া নোয়াবাদের মৃত আব্দুর রাশিদের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, একটি গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১০ সালের ১০ই জুন সকালে হালঘড়া নোয়াবাদ গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে তার দুই ছেলে মো. হানিফ মিয়া ও মো. মানিক মিয়া শাবল দিয়ে ছফির উদ্দিনের মাথায় আঘাত করে।
এতে গুরুতর আহত হওয়া ছফির উদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন ১১ই জুন নিহত ছফির উদ্দিনের চাচাতো ভাই আব্দুল হেলিম বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরেরই ৩০শে নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল হোসেন সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচার চলাকালে মামলার প্রধান আসামি হাফিজ উদ্দিনের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে বুধবার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি আব্দুল খালেক দাদন এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।