× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বৃক্ষরোপণ ও আরসিসি পাইপ প্রকল্পে অনিয়ম

বাংলারজমিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া/বিজয়নগর প্রতিনিধি
৩০ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

আরসিসি পাইপ আর বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে অনিয়ম করেছেন বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল ও তার চাচাতো ভাই সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার। প্রশাসনের তদন্তে এসব প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি গত ২৩শে জানুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। এর আগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানের নির্দেশে জেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের তদন্ত করে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল আক্তারের গৃহীত মির্জাপুর-হরষপুর রাস্তায় বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে অনিয়ম রয়েছে। ইছাপুরা ইউনিয়নে আরসিসি পাইপ সরবরাহের একটি প্রকল্প একই অর্থবছরে দুটি খাত অর্থাৎ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এবং এলজিএসপি থেকে গৃহীত হয়েছে উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় যা সাধারণভাবে হওয়া সমীচীন নয়। ইছাপুর ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের মো. আহার মিয়া গত বছরের ১৯শে মে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন। তার অভিযোগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সাতগাঁওয়ের ধীতপুর রাস্তা থেকে বড়বাড়ির সাকুলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় এডিবি প্রকল্পের মাধ্যমে সিসিকরণ কাজ দেখিয়ে ২ লাখ টাকা, খাদুরাইল সাকুলের বাড়ি থেকে পূর্বদিকের রাস্তা পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ কাজের নামে ১ লাখ টাকা আত্মসাতের কথা বলা হয়।
এছাড়া মির্জাপুর-হরষপুর রাস্তায় বৃক্ষরোপণের নামে ২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। এক পার্সেন্টের টাকা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দরজা-জানালা মেরামতসহ নানা কাজ দেখিয়ে আড়াইলাখ টাকা আত্মসাৎ, ধীতপুর রাস্তার আইনুদ্দিনের বাড়ি থেকে ডালপা ফজলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণে ৪ লাখ টাকা এবং এডিপি ও এলজিএসপি প্রকল্প থেকে ইছাপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে আরসিসি পাইপ সরবরাহের নামে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩৭ টাকা এবং ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৯৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। এছাড়া কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি, উন্নয়ন কর, এডিপির ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসককে বলা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর