× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাইজেরিয়ায় ‘লাসসা জ্বর’ মহামারীতে মৃত ৭০

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০, শুক্রবার, ২:৪৯ পূর্বাহ্ন

পুরো বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাস মহামারী নিয়ে তটস্থ তখন নীরবে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে আরেক মহামারী। সেখানে ‘লাসসা জ্বর’ মহামারীতে ৭০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (এনসিডিসি) জানিয়েছে, ছয় সপ্তাহ ধরে এই মহামারী চলছে সেখানে। দেশটির তিন রাজ্যে এখন পর্যন্ত এর সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

খবরে বলা হয়, দেশজুড়ে জ্বরটিতে সন্দেহভাজন আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে এনসিডিসি। তারা জানায়, সব মিলিয়ে মধ্য-জানুয়ারিতে এরকম আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০০’র কিছু বেশি। বর্তমানে তা ১ হাজার ৭০৮ জনে পৌঁছেছে। নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৭২ জনে।
সর্বশেষ অন্দো, ডেল্টা, কাদুনা রাজ্যে নতুন চার জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।
আল জাজিরা জানায়, লাসসা জ্বর সাধারণত ইদুর গোত্রীয় প্রাণীর মলমূত্রের মাধ্যমে দূষিত হওয়া খাবার বা গৃহস্থালী জিনিসপত্র দিয়ে রোগটি মানুষের মাঝে ছড়ায়। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে, রোগটির বিশেষ কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, মুখে আলসার হওয়া, পেশিতে ব্যথা, ত্বকের নিচে রক্তস্রাব, হার্ট ও কিডনী অচল হয়ে পড়ার মতো লক্ষণ দেখা গেছে। ভাইরাসটি প্রথম ৬ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকে। এ সময়ের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা শরীর থেকে বের হওয়া তরল পদার্থ ও মলমূত্রের মাধ্যমে এর সংক্রমণ হয়ে থাকে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, জ্বরটির ‘কার্যকরী ওষুধ’ পাওয়া গেছে। আক্রান্ত হওয়ার পর প্রাথমিক পর্যায়ে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ‘রিবাভিরিন’ রোগটি সারাতে সক্ষম।  

আফ্রিকা অঞ্চলের সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়া। প্রায় ২০ কোটি মানুষের এদেশে লাসসা জ্বর সনাক্ত করার মতো পরীক্ষাগার রয়েছে পাত্র পাঁচটি। এই রোগটি ইবোলা ও মারবার্গ ভাইরাস গোত্রেরই সদস্য। তবে এতে প্রাণহানীর হার কম। এর উৎপত্তিস্থল নাইজেরিয়ার লাসসা শহরে। ১৯৬৯ সালে এটি প্রথম সনাক্ত করা হয়। উৎপত্তিস্থলের সঙ্গে মিলিয়েই এর নামকরণ করা হয়েছে। প্রতি বছর অঞ্চলটিতে এতে আক্রান্ত হন এক থেকে তিন লাখ মানুষ। প্রাণ হারান অন্তত ৫ হাজার। এর আগে সিয়েরা লিওন, লিবেরিয়া, টোগো ও বেনিনে এর অস্থিত্ব পাওয়া গেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর