পটুয়াখালীতে আপহৃত বিউটি বেগমকে তার ছেলের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ গ্রামের জব্বার খানের স্ত্রী। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারি অফিসার পটুয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের এসআই মো. রউফ বলেন, গত ৮ জানুয়ারি বিউটি বেগম অপহরণ হয়েছে এই মর্মে মির্জাগঞ্জ সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেণ তার স্বামী পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা জব্বার খান। কিন্তু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমার জানতে পারি, দীর্ঘদিন ধরে বিউটি বেগম তার ছেলের সঙ্গে ঢাকার সাভার এলাকায় বসবাস করছেন। এরই ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাভারস্থ পপুলার হসপিটাল এন্ড ডায়গোনস্টিক সেন্টার থেকে তার ছেলে আল-আমিন খান সঙ্গে থাকাবস্থায় সাভার পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় অসুস্থতা বোধ করলে পপুলার হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজী আব্দুল আল-মামুন বিউটিকে সাভার ল্যাব জোন ক্লিনিকে ভর্তির পরামর্শ দেন। এসময় তার শারীরিক আবস্থা ভালো না হওয়ায় তার ছেলের জিম্মিতে সাভার ল্যাব জোন ক্লিনিকের ২০৫ নং কেবিনে তাকে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
এসময় ছেলে আল-আমিন বলেন, আমার মাকে কোন আপহরণ করা হয়নি। সে দীর্ঘ দিন ধরে আমার কাছে সাভারে আছে। গ্রামে মজিবুর মল্লিকের পরিবারকে ফাঁসাতে আমার বাবা আদালতে মা’কে অপহরণের মিথ্যা মামলা করে। বাবার নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচাতেই মা’কে এবং বোনদের আমি ঢাকায় নিয়ে আসি।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারী মির্জাগঞ্জ গ্রামের মৃত মজিদ খানের ছেলে জব্বার খান প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার স্ত্রীকে অপহরণ ও গুম করা হয়েছে মর্মে নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। এতে একই এলাকার মজিবুর মল্লিক, তার স্ত্রী মিনারা বেগম, ছেলে মামুন মল্লিক ও শেলক রফিক মাঝিকে আসামি করা হয়। যার মামলা নং-সিআর১৩/২০২০।