× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তারকাদের আইডি হ্যাক লাখোপতি

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার

চলচিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ফেসবুক আইডি হ্যাকার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তারা হলেন, মীর মাসুদ রানা ও মোহাম্মদ সৌরভ। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। এই হ্যাকাররা বিভিন্ন তারকার আইডি হ্যাকের মাধ্যমে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীর তালিকায় মিশা সওদাগর, জায়েদ খাঁন, রিয়াজসহ আরো অনেক তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন। আইডি হ্যাক করে প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতো। গত তিন বছরে তারা প্রায় বিশ হাজার  আইডি হ্যাক করেছে।  গতকাল র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-২ অধিনায়ক লে, কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ আসে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছে।
এ নিয়ে কাজ করার সময় আবার অভিযোগ আসে শুধু জায়েদ খান নয়। আরো ১৫ জন অভিনয় শিল্পীর আইডিও হ্যাক করা হয়েছে। এরপর আইডি হ্যাকারদের ধরতে অভিযান চালায় র‌্যাব। তিনি বলেন, হ্যাকারদের আটক করাটা ছিল কষ্টসাধ্য কাজ। কারণ এটা সম্পূর্ণ কারিগরি একটি বিষয়। আর আইটি এক্সপার্ট ছাড়া এসব নিয়ে কাজ করা কঠিন। প্রাথমিকভাবে আমরা ২০ জন হ্যাকারকে পাই। যারা এধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত। তারা আইডি হ্যাক করে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করতো। তবে কোনো অভিনয় শিল্পীদের আইডি হ্যাক করে তারা কোনো টাকা আদায় করেনি।

আশিক বিল্লাহ বলেন, মিশা সওদাগর,  জায়েদ খাঁন, রিয়াজ, শাহনুর, আঁচল, রেসি, কেয়া, মাহিয়া, বিপাশাসহ বিভিন্ন অভিনেতা অভিনেত্রীদের আইডি তারা হ্যাক করেছিল। এই হ্যাকার গ্রুপের প্রধান আসিফ আমেরিকায় থাকে। আসিফও গ্রেপ্তার হয়েছিলো। সে মূলত আইডি হ্যাকের প্রশিক্ষণ দেয়। হ্যাকিং করে আদায়কৃত অর্থের একটি অংশ সেও পেত। এই চক্রের দুজন সদস্য সিলেট থেকে ঢাকায় আসবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজন প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক মেধাবী। এই মেধাকে কাজে লাগিয়ে তারা খারাপ কাজ করতো। একেকজন হ্যাকার প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা  আয় করতো। চক্রের বিশজনই অনেক প্রশিক্ষিত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর