× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশে ফেরত যাওয়া ব্যক্তিদের শত্রুসম্পত্তি বিক্রির তোড়জোড় শুরু ভারতে

এক্সক্লুসিভ

কলকাতা প্রতিনিধি
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার

ভারত থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অধুনা বাংলাদেশে চলে যাওয়া ব্যক্তিদেরই সম্পত্তি প্রথম দফায় বিক্রির তোড়জোড় শুরু করেছে ভারত সরকার। এজন্য পশ্চিমবঙ্গে থাকা যেসব শত্রু সম্পত্তির ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা নেই, সেগুলোই নিলামে বিক্রি করা হবে। এজন্য ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি ও মন্ত্রীগোষ্ঠী  তৈরি করেছে। তারাই নিলামের কাজ তদারকি করবে। ভারত থেকে ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের পর যেসব চীনা চলে গিয়েছেন এবং ১৯৪৭ সালে দেশভাগ এবং ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর যেসব ব্যক্তি পাকিস্তানে চলে গিয়েছেন, তাদেরই সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শত্রু সম্পত্তির ‘হেফাজতকারী’ বা কাস্টডিয়ান বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা ভারতে এমন প্রায় ৯ হাজার ৪০০ সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তরপ্রদেশে, প্রায় হাজার পাঁচেক। তবে পশ্চিমবঙ্গে থাকা এমন শত্রু সম্পত্তির সংখ্যা ২৭৩৫টি।
সামান্য কয়েকজন চীনা বংশোদ্ভূতকে বাদ দিলে এই তথাকথিত ‘শত্রু’রা প্রায় সবাই মুসলিম। তাই অনেক মুসলিম সংগঠনই মনে করে শত্রু সম্পত্তি আইন আসলে একটি মুসলিমবিদ্বেষী পদক্ষেপ। আইনজ্ঞদের মতে, প্রথমে এই আইনটার নাম ছিল ইভ্যাকুয়ি প্রোপার্টি ল’, অর্থাৎ দেশত্যাগীদের সম্পত্তি আইন। আইনটার লক্ষ্য ছিল দেশভাগের সময় যারা ভারত থেকে চলে গিয়েছেন তাদের সম্পত্তি  কোনো একজন কাস্টডিয়ানের জিম্মায় থাকবে, যতক্ষণ না তিনি ফিরে এসে নিজের সম্পত্তি আবার বুঝে নিচ্ছেন। কিন্তু এখন এই ইভ্যাকুয়িরাই শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এই সব শত্রু সম্পত্তির দখল যাতে আটকানো যায় সেজন্য ভারত সরকার ১৯১৭ সালে শত্রু সম্পত্তি আইন এবং পাবলিক প্রেমিসেস আইন সংশোধন করে শত্রু সম্পত্তির ওপর উত্তরাধিকারীদের দাবি জানানোর অধিকার কেড়ে নিয়েছে।  বলা হয়েছে, সরকার  কোনো শত্রু সম্পত্তির দখল নিলে তার দাবিদার বা উত্তরাধিকারীরা আপিল করার জন্য মাত্র দু’মাস সময় পাবেন। এর জন্য আবেদন জানাতে হবে সরাসরি কোনো হাইকোর্টে। অবশ্য এই আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরকার উত্তরপ্রদেশের মেহমুদাবাদের রাজার উত্তরাধিকারীকে আটকানোর চেষ্টা করেছে। রাজা পাকিস্তানে চলে গেলেও তার  পুত্র ভারতে ফিরে এসে নাগরিকত্ব নেয়ার পর সমস্ত সম্পত্তি দাবি করেছেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছেন। লক্ষেèৗ শহরে প্রায় ৯০০ সম্পত্তি রয়েছে রাজার। ভারত সরকার আশা করছে, ভারতে থাকা শত্রু সম্পত্তি বিক্রি করে প্রায় এক লাখ কোটি রুপি কোষাগারে আনা সম্ভব হবে। আর তারই প্রথম ধাপ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গকেই বেছে নেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর