× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চলতি সপ্তাহেই ফের খালেদার জামিন আবেদন

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার

চলতি সপ্তাহেই কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে ফের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়য়ক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিন বলেন, আমরা চলতি সপ্তাহে ফের ম্যাডামের জামিনের দরখাস্ত করবো। আমরা বিশ্বাস করি, হাইকোর্ট দেশের জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল। সেখান থেকে আমরা এবার অবশ্যই অসুস্থ বেগম জিয়ার জামিন লাভ করব। জামিন আবেদনে বেগম জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি তুলে ধরা হবে বলে তিনি জানান। তিনি এতটাই অসুস্থ যে বসা থেকে দাঁড়াতে পারেন না। হাত বাঁকা হয়ে গেছে। করো সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। খেতে পারেন না।
শরীরের তীব্র ব্যথার কারণে তিনি ভালোভাবে ঘুমাতেও পারছেন না।
সূত্র জানায়, গত ৮ই ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার  কারাবাসের দুই বছর শেষ হয়েছে। কারাগারে ভালো নেই তিনি। খুবই অসুস্থ। পিঠে ঘা হয়ে গেছে। হাত-পা ও পিঠের ব্যথায় কাতর তিনি। গতবছরের এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু তার শরীরের কোনো উন্নতি হচ্ছে না বলে দাবি স্বজনদের।  
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণা হলে আপিল করেন তারা। গত ৩০শে অক্টোবর হাইকোর্ট এ মামলায় সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের রায় দেন। গত ২৮শে জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। এখন এ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে হবে। অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ২৯শে অক্টোবর বিচারিক আদালতের সাত বছরের কারাদ- ঘোষণার পর গত বছরের ১৮ই নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে সাজার বিরুদ্ধে। এই মামলাতেও জামিন আবেদন করতে হবে। এছাড়া গ্যাটকো, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও নাইকো মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি চলছে। তার আইনজীবীরা জানান, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলে ৪টি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের গত দশ বছরে ৩৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ৫টি, রাজধানীর গুলশানসহ খুলনার ফুলতলা, পঞ্চগড়,  নাশকতার ১৬টি, মানহানির ৪টি, ৩টি হত্যা, সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে দেয়া মানহানিকর বক্তব্যের অভিযোগে ২টি, রাষ্ট্রদ্রোহের একটি, ভুয়া জন্মদিন পালনের একটি, সাবেক নৌমন্ত্রীর ওপর বোমা হামলার একটি, জাতীয় পতাকার অবমাননার একটি, ড্যান্ডি ডাইংয়ের অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন একটি এবং বিএনপি’র নয়াপল্টন কার্যালয়ের মালিকানা নিয়ে রয়েছে একটি দেওয়ানি মামলা। এর মধ্যে দুই মামলায় রায় হলেও ১৬টিতে অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে এবং উচ্চ আদালতে ১১টির বিচার স্থগিত আছে। আর বাকি মামলাগুলোর কোনোটিতে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে, বা কোনোটি তদন্তের পর্যায়ে আছে। রাজধানী ঢাকাসহ কুমিল্লা ও কক্সবাজারে বেশ কয়েকটি মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর