× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছয় শতাধিক ছাত্রের এক শিক্ষক

দেশ বিদেশ

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার

 ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার প্রত্যন্ত ইউনিয়ন ধরমণ্ডল, উপজেলা পর্যায়ের এটি বৃহত্তম গ্রামও বটে। গ্রামের পূর্ব পাশে সুন্দর দোতলা স্কুল। সরকারি নিয়মে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় স্কুল। যথাসময়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত হন বিদ্যাপিঠে। ক্লাসে বসে শিক্ষার্থীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে শিক্ষকের জন্য। কিন্তু ক্লাসে যান না শিক্ষকরা। নামও ডাকা হয় না কোমলমতি এসব শিক্ষার্থীর। এভাবেই দায় সারাভাবে চলছে ধরমণ্ডল নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
যা দেখার বা ব্যবস্থা নেয়ার কেউ নেই। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে কালীগঞ্জ সংলগ্ন এই স্কুলটি অবস্থিত। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে সরজমিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় স্কুলের ভিন্ন চিত্র। স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্লাসের বাইরে ও ভেতরে হইচই করতে ব্যস্ত রয়েছে। ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে একজন শিক্ষক অফিসে বসে বসে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। কারো কোনো দিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। ১১টা ৫ মিনিটে স্থানীয় মেম্বার কাদির মিয়াকে নিয়ে স্কুল আঙ্গিনায় সময় কাটালেও কোনো শিক্ষককে দেখা যায়নি। দোতলায় অফিসে গিয়ে সহকারী শিক্ষিকা রুমা রানী দাসকে পাওয়া যায়। অফিসের দু’টি দরজার মধ্যে একটি দরজা খোলা ছিল। কাদির মেম্বারের শব্দ শুনে ম্যাডাম অপর দরজাটি খুলে দেন। কথা হয় মোবাইলে ব্যস্ত মনের শিক্ষক রুমা রানী দাসের সঙ্গে। তিনি জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শুকলাল সরকার মাসিক মিটিংয়ে উপজেলা সদরে অবস্থান করছেন। সুরাইয়া আক্তার বিষয় ভিত্তিক ৬ দিনের ট্রেনিংয়ে আছেন। তাসলিমা বেগম ডিপিএড ট্রেনিংয়ে আছেন। এভাবেই হযবরল পরিবেশে চলছে ধরমণ্ডল নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী জানান স্যাররা নিয়মিত স্কুল ও ক্লাসে আসেন না। স্থানীয় কাদির মেম্বার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে হাজী ফিরুজ মিয়া স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য জমি প্রদান করেছিল তা সফল হয়নি। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হয় প্রধান শিক্ষক শুকলাল সরকারের সঙ্গে তিনি জানান, শিক্ষক সংকটে ভুগছি।
তার তথ্যমতে পঞ্চম শ্রেণিতে ৬৭ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৯৪ জন, ৩য় শ্রেণিতে ১০৮ জন, ২য় শ্রেণিতে ১১৩ জন, ১ম শ্রেণিতে ১৪৩ জন, প্রাক প্রাথমিকে ১৫৮ জন ছাত্র রয়েছে। গত ২০১৮ সনে দিদার মিয়া পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ সহ বৃত্তি প্রাপ্ত হন। বর্তমানেও শিক্ষার হার শতভাগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উম্মে সালমা জানান, শিক্ষক সংকট কাটানোর লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, একজন শিক্ষক স্কুলে আছে জানলে প্রধান শিক্ষককে মাসিক মিটিংয়ে ডাকা হতো না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর