× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মিছিলের অনুমতি না পেয়ে বিএনপি’র বিক্ষোভ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্ব ঘোষিত মিছিল কর্মসূচিতে বাধা পেয়ে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। গতকাল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত মিছিল করার কর্মসূচি ছিল দলটির। তবে পুলিশ মিছিলের অনুমতি না দেয়ায় নয়া পল্টনেই বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই নয়া পল্টনে ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি। পুলিশের কড়া পাহারার মধ্যে ধীরে ধীরে নেতাকর্মীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বেলা ১ টা ৫০ মিনিটে দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই শত শত নেতাকর্মী চর্তুদিক থেকে হাজির হন। তারা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৬ কোটি মানুষের নয়নের মনি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি ছিলো বিক্ষোভ মিছিল। এতে পুলিশ বাধা দিয়েছে, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে, কার্যালয়ের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দিয়েছে। সরকার মনে করেছে, এভাবে দমন-পীড়নে-বাধা দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে। জনগণের যে প্রাণের দাবি তাকে বাধাগ্রস্ত করবে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে এভাবে দমন-পীড়ন চালিয়ে কখনও ক্ষমতায় থাকা যায় না।  জনগণের ন্যায্য দাবিকে কখনও দমন পীড়ন করে দমন করা যায় না।  

ফখরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছে সংগ্রামের মাধ্য দিয়ে। এটা ফেব্রুয়ারী মাস, ১৯৫২ সালে এদেশের মানুষ মায়ের ভাষার জন্য নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দাবি আদায় করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার বেআইনি, দখলদারি সরকার, জনগণের  কোনো ম্যান্ডেট ছাড়া তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। একদলীয় শাসন কায়েম করতে সমস্ত দমন পীড়ন, নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। আজ সরকারের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই, আমাদোর ২৫ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তাকেও ২বছর ৭দিন ধরে কারাগারে আটকে রেখেছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ, আমরা তার মুক্তির মাধ্যমে সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু সরকার কোনো সহযোগিতা করেনি, আমরা আবারও বলছি বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ তাকে মুক্তি দিন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকের সমাবেশকে বাধা গ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু নেতাকর্মীদের সাহসিকতার ফলে আজকের এ সমাবেশ সফল হয়েছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করেছেন বলেই আজ তিনি কারাগারে। আমরা বলতে চাই-খালেদা জিয়াকে নয়, সারা বাংলাদেশকে কারাগারে রাখা হয়েছে। আজ আইনের শাসন নেই। মানুষ সুবিচার পায় না, সব জায়গায় মানুষের নিরাপত্তার অভাব। মির্জা আব্বাস বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শত প্রতিকুলতার মাঝেও আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। আমাদেরকে খালেদা জিয়ার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের জেলে নিক, নির্যাতন করুক, গুম-খুন করুক কোনো কিছুতেই প্রতিবাদ থামবে না। আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে খালেদা জিয়াকে জামিন দিচ্ছে না। কারণ সরকার জানে খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে রাজ পথে নামলে জনগণের স্রোতে সরকার ভেসে যাবে। তাই খালেদা জিয়ার জামিন বাধাগ্রস্ত করছে। তাকে আটকে রাখছে। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা মায়ের মুক্তির জন্য সমবেত হয়েছি। মায়ের মুক্তির সংগ্রাম কেউ থামাতে পারে না। কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না।  মায়ের মুক্তি জনগণ, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও স্বাধীনতার মুক্তি। মায়ের মুক্তির আন্দোলনে আমাদের যোগ দিয়ে মাকে মুক্ত করতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর