× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইব্রাহিম খালেদের বক্তব্য শুনবেন আপিল বিভাগ

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০, রবিবার, ২:০৮ পূর্বাহ্ন

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) স্বাধীন চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে ডেকেছেন আপিল বিভাগ। আগামী ২৫শে ফেব্রুয়ারি  ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের আর্থিক অবস্থার বিষয়ে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে তাদেরকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করীম। পরে তিনি জানান, কোম্পানিটির অবসায়নে একটি পিটিশন ছিলো হাইকোর্টে। হাইকোর্ট গত ১৯শে জানুয়ারি একটি অর্ডার দিয়েছিলেন। সেখানে বেশ কিছু ডিরেকশন ছিলো। এ কোম্পানির যে চেয়ারম্যান আছে তাকে অপসারণ করে সেখানে ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেয়া হলো।
কোম্পানির ডিরেক্টরসহ কর্মকর্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হবে। তাদের পাসপোর্টগুলো সিজ হবে। এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং আপিল বিভাগে আবেদন করে। হাইকোর্টে যে মামলা করেছিলো এরইমধ্যে তার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আজকে শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশ দিয়েছেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে বক্তব্য প্রদান এবং কোর্টে তাকে হাজির হতে হবে। একইসঙ্গে আদালতের নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খালেদকেও লিখিত বক্তব্য দিতে এবং আসতে বলা হয়েছে ২৫শে ফেব্রুয়ারি।

তিনি আরও বলেন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের বাস্তবিক পক্ষে অর্থনৈতিক অবস্থা কি রকম আছে, অবসায়ন হওয়ার মতো অবস্থায় আছে কিনা, আর্থিক অনিয়ম হলে কোন পর্যায়ে আছে, অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়ে সামগ্রিক অবস্থা তারা দু’জন তুলে ধরবেন।

গত ১৯শে জানুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিকখাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেন। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যান, এমডি, বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ১৩ পরিচালকের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ করতে বলা হয়। এছাড়া প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের মা, স্ত্রী, ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার, দুই কাজিন অমিতাভ অধিকারী ও অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এরফানউদ্দিন আহমেদ এবং বন্ধু উজ্জল কুমার নন্দীর ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ করার নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি ২০ জনের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন।

হাইকোর্ট যাদের সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দ করা এবং বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তারা হলেন- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জি, পাপিয়া ব্যানার্জি, মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, আবুল হাসেম, মো. রাশেদুল হক, পি কে হালদার, তার মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, ভাই প্রিতুষ কুমার হালদার, কাজিন অমিতাভ অধিকারী ও অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরফানউদ্দিন আহমেদ এবং পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জল কুমার নন্দী।

প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর