সার্ভিস চার্জ দিলেই ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করে দেবে দেশের আবাসন খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান মাল্টিপ্ল্যান লিমিটেড। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। সম্প্রতি সিলেট নগরীর উপশহরস্থ শাহজালাল মাল্টিপ্ল্যান সিটির ফ্ল্যাট গ্রহীতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি খোলাসা করেন কর্তৃপক্ষ। নগরীর মেন্দিবাগ এলাকার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফ্ল্যাটে বসবাসকারীরা অবশ্যই তাদের ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন করবেন। রেজিস্ট্রেশন একটি সরকারি প্রক্রিয়া। প্রকল্পের জমি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃক ইজারাকৃত। রেজিস্ট্রেশনের আগে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ থেকে বিক্রয় অনুমতি বাধ্যতামূলক। হাউজিং ফি, সার্ভিস চার্জ ও সেলস পারমিশনের টাকা দিলেই ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করে দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাল্টিপ্ল্যান লিমিটেডের মিডিয়া উইং প্রধান এএম আরিফ হোসেন উল্লেখ করেন, প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, সিলেটের কৃতী সন্তান ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুনসেফ আলী দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অথচ তাকে ও প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সম্প্রতি সিলেটে শাহজালাল মাল্টিপ্ল্যানের ‘হিজল ভবন’-এর বাসিন্দা মিথ্যাচার ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। যা বাস্তবের সঙ্গে কোনো মিল নেই। হিজল ভবনের ৮৪টি ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের মধ্যে ৮-১০ জন লোক নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য অপপ্রচার করেছেন। এমনকি তারা কোম্পানির সিইও’র বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে হাজার কোটি টাকার মানহানি করেছেন। বক্তব্যে বলা হয় মাল্টিপ্ল্যানের সৈয়দ প্লাজা, হিজল ভবন ও তমাল ভবন নামে তিনটি ভবন রয়েছে। এরমধ্যে হিজল ভবনের ১২ তলা পর্যন্ত ৮৮ ফ্ল্যাট বিক্রি করা হয়। গ্রহীতারা সেখানে বসবাসও করে আসছেন। তারা নিয়ম অনুযায়ী সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিজ খরচে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন করবেন। কোম্পানি সার্বিক সহযোগিতা করবে এবং সার্ভিস চার্জ নেবে। দফায় দফায় তাদের চিঠি দিয়েও তারা সার্ভিস চার্জ প্রদান না করায় কোম্পানি ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন করে দিতে পারছে না। এ অবস্থায় কিছু বাসিন্দা সার্ভিস চার্জকে অতিরিক্ত দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানি তাদের ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন করে দিচ্ছে না বলে অপপ্রচার করছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির লিগ্যাল হেড তাপস কুমার দে, অফিসার কামরুদ্দিন, হেড অব এডমিন আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ।