২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে বাহরাইনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় নেপাল। শিরোপাজয়ী নেপাল ৫০ হাজার ডলার ও রানার্সআপ বাহরাইনকে প্রাইজমানির ২৫ হাজার ডলার বুঝিয়ে দিতে গিয়ে বহু টালবাহানা করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বার বার তাগিদ দেয়ার পর দুটি ক্লাবের প্রাইজমানির অর্থ বুঝিয়ে দিতে চার বছর লেগে যায় বাফুফের। এবার শেখ কামাল আন্তজার্তিক ক্লাব কাপের চ্যাম্পিয়ন দলের পুরস্কারের অর্থ নিয়ে একই অভিযোগ উঠেছে আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীর বিরুদ্ধে। গত বছর অক্টোবরে হয়ে যাওয়া শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল তেরেঙ্গানু এফসি এখনও পায়নি টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি। ছয় ক্লাবের আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়নদের জন্য বরাদ্দ প্রাইজমানির ৫০ হাজার ইউএস ডলার (৪২ লাখ টাকা) এখনও পাওনা মালয়েশিয়ার ক্লাবটি।
গত বছর ১৯ থেকে ৩১শে অক্টোবর চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শেখ কামাল অন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের তৃতীয় আসরটি আয়োজিত হয়েছিল। ফাইনালে আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তেরেঙ্গানু এফসি। চ্যাম্পিয়ন দলকে প্রাইজমানি হিসেবে ৫০ হাজার ইউএস ডলার (৪২ লাখ টাকা) দেয়ার কথা ছিল আয়োজক কমিটির।
সাড়ে তিন মাস কেটে গেলেও প্রাইজমানি বুঝে না পেয়ে হতাশ তেরেঙ্গানু ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সারিজান মানবজমিনকে বলেন, ‘আমরা তাদের আমন্ত্রণে অংশ নিয়েছি কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুরস্কারের অর্থ বুঝে পাইনি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা টুর্নামেন্ট কমিটির সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা তাদের দেয়া কথা রাখছে না।’ তেরেঙ্গানু এফসির অভিযোগ প্রসঙ্গে শেখ কামাল ক্লাব কাপ আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক তরফদার রুহুল আমিন বলেন, এর আগেও আমরা শেখ কামাল আন্তজার্তিক ক্লাব কাপের আয়োজন করেছি। বরাবর চ্যাম্পিয়ন দলকে সঙ্গে সঙ্গে প্রাইজমানি বুঝিয়ে দিয়েছি। এবার টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে নানা জটিলতা হয়েছে। শেষ মুহূর্তে আবাহনী অংশ না নেয়ায় আমাদের খরচ বেড়ে যায়। তাছাড়া টুর্নামেন্টের বিভিন্ন স্পন্সরের অর্থ এখনও পুরোপুরি পাইনি। তারপরেও আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যে স্পন্সরের অর্থ না পেলেও তাদের প্রাইজমানি দিয়ে দেবো।