কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার মডেলে বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজন করা হবে। এজন্য কলকাতা বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিসার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সহায়তা ও পরামর্শ চেয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। গিল্ড সূত্রে এ খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, তারা এই মেলা সংগঠিত করার ক্ষেত্রে সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশে বর্তমানে ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বইমেলার আয়োজন করা হয়। এবারও এই বইমেলা শুরু হয়েছে। তবে এই বইমেলায় বাংলাদেশের বাংলা ভাষার প্রকাশকরাই প্রধানত যোগ দেন। তাই একটি আন্তর্জাতিক স্তরের বইমেলা করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় উদ্যোগী হয়েছে বলে জানা গেছে। এই বইমেলায় ভারতের সব প্রকাশনা সংস্থা সহ বিশ্বের সব দেশের প্রকাশনা সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে এই আন্তর্জাতিক বইমেলা নভেম্বরের কোনও এক সময়ে অনুষ্ঠানের চেষ্টা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার এই আন্তর্জাতিক বইমেলার জন্য জেনিভাস্থ আন্তর্জাতিক পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদন চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। এই সংস্থাই আন্তর্জাতিক বইমেলার জন্য দিন নির্দিষ্ট করে। সেইমত বাংলাদেশ এই আন্তর্জাতিক বইমেলার দিন তারিখ নির্দিষ্ট করবে বলে জানা গেছে। আগামী বছর কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশকে ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতা বইমেলার বাংলাদেশ দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে, আগামী বছরের কলকাতা বইমেলাকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি উৎসর্গ করা হবে। মেলায় থাকবে বিশেষ প্যাভেলিয়ন। তাতে বঙ্গবন্ধুর লেখা বই ও পান্ডুলিপি প্রদর্শিত হবে। জানা গেছে, সেই মেলা উদ্বোধনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর কথাও আয়োজক সংস্থার কর্তারা ভাবছেন।