চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে খাল ঘেঁষে রাস্তার অনেক স্থান ধসে পড়েছে। উপজেলার ৮ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর খালের পাশ দিয়ে যাওয়া হাজীশ্বরাই সড়ক, দুর্গাপুর টু কালিতলা-এর এন কে মজুমদার সড়ক, বসির উল্ল্যাহ সূফী সড়কের খাল পাড় সড়কে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কে ভাঙনের কারণে ৭ নং কাটাছড়া ও ৮ নং দুর্গাপুর এই দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের স্বাভাবিক চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। কিন্তু খালগুলো কাটতে গিয়ে খালের দুইপাশে তৈরি হওয়া সড়কের পাশে পর্যাপ্ত জায়গা না রাখায় বর্ষায় সড়কগুলো ভেঙে খালে পড়ে যাবে। তাই খালের উন্নয়ন করতে গিয়ে সড়কের ক্ষতি হওয়ার দায় কার? সাধারণ মানুষের মধ্যে এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দুর্গাপুর বাজার থেকে জনার্দনপুর বাজার সড়ক পর্যন্ত সরজমিন দেখা গেছে, কার্পেটিং করা সড়ক বা ইট বসানো সড়কের পাশ ভেঙে খালে পড়ে গেছে। এলাকার ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইউছুুফ বলেন, এবারের শুষ্ক মৌসুমে সংস্কার করা না হলে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের শিকার জনার্দনপুর সড়কটির অবশিষ্ট অংশ ও আগামী বর্ষায় খালে বিলীন হয়ে যাবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। তেমুহানি বাজারের ব্যবসায়ী সাধন চন্দ্র শীল বলেন, সড়কটি দিয়ে কয়েক মাস ধরে স্কুল-মাদ্রাসার গাড়ি, যানবাহন, পিকআপ, সিএনজি চলাচল না হওয়ায় স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে ইউনিয়নের উত্তর দুর্গাপুর, পশ্চিম দুর্গাপুর, তেমুহানি, কালুর দোকান, চৈতন্যার হাট, তেতৈইয়া, শিকার জনার্দনপুর চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন, নিয়ম না মেনে খাল কাটায় এখন রাস্তা বিলীন হওয়ার পথে। আর এতে কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এখন দুর্ভোগের কবলে। রাস্তার অনেক স্থানে ইট সুরকিসহ মাটি ধসে পুরো রাস্তাই খালে। চলমান শুষ্ক মৌসুমে এর সংস্কার করা না হলে জনদুর্ভোগ অনেকগুণ বেড়ে যাবে বলে জানায় এলাকাবাসী। এই বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান বিপ্লব বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদে শিগগিরই আলোচনা করবো। উপজেলার এলজিইডির প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সরজমিন পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।