× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লক্ষ্মীপুরে দুই ভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ মানুষ

বাংলারজমিন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

রামগতি উপজেলার চরআবদুল্লা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রমিজ উদ্দিন ও তার বড় ভাই খোকন ডাকাতের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চরগজারিয়া, তেলিরচর, বয়ারচর ও  মৌলভীর চরের কয়েক হাজার বাসিন্দরা। অভিযোগ রয়েছে, খোকন ডাকাত ওইসব চর ও মেঘনা নদীর নৌপথে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সন্ত্রাসী কমকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে রামগতি, হাতিয়া, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রায় ত্রিশটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। একাধিবার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এ খোকন ডাকাত। ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, গত ৯ই জানুয়ারি গভীর রাতে চরআবদুল্লাহ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিনের ভাই ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নবী উদ্দিনের ঘর থেকে যুবলীগ নেতা ও বর্তমানে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী আইয়ুব নবীসহ দুইজনকে কোস্টগার্ড পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন আইয়ুব নবীর ভাই আবু ছায়েদ। তার অভিযোগ, রাতে আইয়ুব নবীকে খোকন ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসী ফখরুল, আজিম, মতিন,মাকছুদ ও তাহেরসহ সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। পরে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে তারা।
চাঁদা দিতে না পারায় কৌশলে পার্শ্ববর্তী থানায় কোস্টগার্ডের মাধ্যমে তাকে আটক দেখানো হয় বলে দাবি করেন তিনি। শুধু আইয়ুব নবী নয় এ রকম জেলে, কৃষক, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করে খোকন ও তার ভাই ইউপি সদস্য রমিজ উদ্দিন। তাদের ভয়ে কোন মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তারপরও কেউ সাহস করে মুখ খুললে তার ওপর চলে নির্মম নির্যাতন। এছাড়া অন্য মানুষের মাধ্যমে মামলার ভয়ভীতি দেখানো হয়। সরেজমিনে গেলে সাধারণ মানুষ এ প্রতিবেদককে তাদের নির্যাতনের ও চাঁদাবাজির  এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে মুখ খুলেন। বলেন, খোকন ও  তার ভাই রমিজ এবং তার মামা আবদুল মতিনসহ তাদের রয়েছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। এ সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে নদীপথ ও বেশ কয়েকটি চরাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। কথায় কথায় মারধর, চাঁদবাজি ও অপহরণের ঘটনা  অহরহ ঘটে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। তাদের বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এসব চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ। দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে চরে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর। তবে এসব বিষয়ে খোকনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া না গেলেও তার ভাই ইউপি সদস্য রমিজ উদ্দিন দাবী করেন, তাদের কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নাই। এবং তার ভাই খোকন ষড়যন্ত্রের শিকার। তাদের বিষয়ে
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মো, সোলাইমান হোসেন জানান, ইতিমধ্যে চরে অভিযান চালিয়ে ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে। ডাকাত খোকন বা তার ভাই রমিজ হোক বা যত বড়ই অপরাধী হোক, কাইকে ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর