× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যে কারণে সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন রুহুল আমিন

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

বাফুফে নির্বাচনকে সামনে রেখে গত দুই বছর থেকে মাঠ গোছালেন তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। ক’দিন আগেও সাবেক ফুটবলার ও সংগঠকদের নিয়ে প্যানেল গঠনের কার্যক্রমও সেরে ফেলেছিলেন তিনি। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির ষষ্ঠ সভা শেষে নির্বাচন ও প্যানেল নিয়ে খোলামেলা আলাপও করেছিলেন এই সংগঠক। সেই তিনিই রোববার রাতে ঘোষণা দেন বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন না করার। সেই ঘোষণা তিনি দিয়েছেন, বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে ফোন করেই। গতকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি জানিয়েছেন ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন।
আগামী এপ্রিলে বর্তমান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। নতুন মেয়াদে সভাপতি পদে আবার নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
সালাউদ্দিনের বিপক্ষে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করে ‘শো-ডাউন’ করে আসছিলেন তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। কাল তিনিই জানালেন সভাপতি পদ থেকে সরে আসার কারণ। তরফদার রুহুল আমিন প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে দুটি ক্লাবের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। সাইফ স্পোর্টিং ও চট্টগ্রাম আবাহনী। এ ছাড়া তিনি জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ও ক্লাব এসোসিয়েশনের সভাপতি। মহাখালীতে তার  অফিসে ক্লাব ও জেলা এবং বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পাশে রেখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘দুটি এসোসিশেয়ন থেকে আমাকে সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। আমিও এ পদে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কারণ তখন আমরা জেনেছি বর্তমান সভাপতি আর নির্বাচন করবেন না। পরে জানতে পারলাম বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন চতুর্থবারের মতো নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও তিনি আগে বলেছিলেন নির্বাচন করবেন না। তার নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ায় ক্রীড়াঙ্গনে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যা ক্রীড়াঙ্গনের জন্য সুখকর নয়। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করবো না।’ সভাপতি পদে নির্বাচন না করলেও অন্য পদে নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ফুটবলের ভালো চাই। ফুটবল এগিয়ে যাক। ফুটবলকে নিয়ে অনেক কাজ করার আছে। নির্বাচনকে ঘিরে যে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে মুক্তি পেতে চাই। যে কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে তা আমাদের কারও জন্য মঙ্গল না। তাই ওই একটা পদেই আপাতত আমি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে অন্য যে পদগুলো আছে সেগুলো ক্লাব এবং জেলা ও বিভাগ এসোসিয়েশন ঠিক করবে। তারা নিশ্চয়ই একটি সুন্দর প্যানেল দেবে। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই ফাইনাল হবে।’ সভাপতি পদে নির্বাচন প্রসঙ্গে কোনো চাপ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমিন বলেন, ‘কোনো চাপ নেই। ফুটবলের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। ফুটবলকে একটি ভালো জায়গায় নেয়ার জন্য।’ বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে সমর্থন দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাপোর্ট মানে কী? আমাদের তো দুটি ক্লাব আছে। ক্লাব দুটি বাফুফের স্টেক-হোল্ডার। উনারা তো সাপোর্ট দিচ্ছেন। প্রশাসনিক সাপোর্ট তো থাকবেই। এখন উনি কী করবেন তার বিষয়। আমি করবো না। এটা নিশ্চিত। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।’ আপনি কেন সরে যাচ্ছেন এ প্রশ্নে রুহুল আমিন বলেন, ‘ফুটবলে ব্যাপক অস্থিরতা নির্বাচনকে ঘিরে। বিভিন্ন কথা আসছে। সব পক্ষ থেকে কথাবার্তা আসছে। তাই আমি চিন্তা করে দেখলাম এটা আসলে আমাদের ফুটবলের উন্নতির জন্য শুভ নয়। ব্যক্তিগতভাবে ফিল করছি। অস্বস্তির মধ্যে নির্বাচন করা ঠিক হবে না। ২১টি পদ আছে। সভাপতি একটি পদ। অন্য পদও আছে। জেলা ও বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের দক্ষ সংগঠক আছে। একত্রে বসে সিদ্ধান্ত নেবে। দিনশেষে আমরা ফুটবলের পক্ষেই কাজ করছি।’ চট্টগ্রামে মেয়র পদে আ জ ম নাছিরদ্দিন মনোনয়ন পাননি। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোটা ওটার সঙ্গে সম্পর্কিত কি না? রুহুল আমিনের পরিষ্কার উত্তর, ‘ওটা রাজনৈতিক ইস্যু। আর আমার এটার সঙ্গে কোনো মিল নেই। সম্পর্ক নেই। নির্বাচনে সমর্থন প্রসঙ্গে তার উত্তর, ‘নির্বাচন হলো গণতান্ত্রিক অধিকার। যে কেউ দাঁড়াতে পারে। আরো প্রার্থী আসতে পারে। এই মুহূর্তে সমর্থন দেবো কিনা বলতে পারবো না। তবে ফুটবল থেকে সরে যাচ্ছি না। আমার ক্লাব আছে। একাডেমি আছে। যেহেতু অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে, সেখান থেকে সরে এসেছি। এটা সাময়িক।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর