× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বড়লেখায় গাছ কেটে জোরপূর্বক নালায় রাস্তা নির্মাণ

বাংলারজমিন

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

বড়লেখার উত্তর সুজানগর গ্রামের একটি সরকারী রেকর্ডিয় নালা (গোপাট শ্রেণী) স্থানীয় প্রভাবশালীরা দা, লাঠিসোটা নিয়ে জোরপূর্বক ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করেছে। এর আগে নালা সংলগ্ন বাসিন্দাদের লাগানো অর্ধলক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির ৩০টি গাছ কেটে নিয়েছে। পানি নিষ্কাশনের নালা ভরাট করায় গ্রামের অর্ধশত পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে এর জের ধরে যেকোন সময় এলাকায় রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের উত্তর সুজানগর গ্রামের সুজানগর মৌজার সাবেক দাগ ১২৭২ ও ১৩৮৮ নং হাল দাগের শতাংশ ভূমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। গোপাট শ্রেণীর এ ভূমি দিয়ে এলাকার বাড়িঘরের পানি নিষ্কাশিত হয়। নালার পাড়ের অর্ধ শতাধিক পরিবারের সদস্যদের বসবাস রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার প্রভাবশালী রেজাউল করিম, মাহতাব উদ্দিন, আব্দুল মুনিম, বাবুল আহমদ, নেওয়ার আলী, হাসিন আহমদ, আলা উদ্দিন, রাহেল আহমদ প্রমুখ সরকারী নালার শ্রেণী পরিবর্তনের চেষ্টা চালায়।
তারা সরকারী এ ভুমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে গোপাট ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের পাঁয়তারা করে। সমপ্রতি স্থানীয় এ প্রভাবশালীরা দা, লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক নালা ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করে। ভুক্তভোগীরা বাধা নিষেধ করলে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। এলাকার লোকজন জানান, সরকারি পাকা ও কাঁচা রাস্তা থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৩ পরিবারের যাতায়াতের জন্য নালা ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের প্রয়োজনই পড়ে না। মূলত আব্দুস শুকুর ও তুতিউর রহমানের সাথে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীর বিরোধ রয়েছে।  পূর্ব শত্রুতা মেটাতে তাদেরকে নানাবিদ সমস্যায় ফেলতে নালা ভরাট করা হয়েছে। ভুক্তভোগী আব্দুস শুকুর ও তুতিউর রহমান জানান, গত বছরও তারা নালা ভরাটের চেষ্টা চালায়। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করায় কিছুটা থামে। কয়েকদিন পূর্বে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা জোরপূর্বক নালা ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করেছে। নালা সংলগ্ন আমাদের লাগানো ৩০টি গাছ কেটে নিয়েছে।
এতে আমাদের পরিবারগুলো মারাত্মক জলাবদ্ধতার শিকার হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। আব্দুস শুকুর জানান, এ ঘটনায় তিনি প্রতিপক্ষের ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা করেছেন। সহকারী কমিশনার (ভুমি) নুসরাত লায়লা নীরা জানান, সরকারি নালা ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছে। এব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর