জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১০০০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ৮৫০৩৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী, অনলাইন লাইব্রেরি অ্যামাজনের প্রধান জেফ বেজোস। তিনি বলেছেন, এই অর্থ ব্যয় করবেন বিজ্ঞানী, অধিকারকর্মী ও অন্যান্য গ্রুপ। তিনি বলেছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ওপর ভয়াবহ প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জ্ঞাত উপায়কে আরো সম্প্রসারণ ও নতুন নতুন পন্থা উদ্ভাবনের মতো উভয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি কাজ করতে চাই। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে তিনি লিখেছেন, এই গ্রীষ্মেই তিনি এই অর্থ বিতরণ শুরু করতে যাচ্ছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে আরো বলা হয়েছে, জেফ বেজোসের এখন নিট অর্থের পরিমাণ ১৩০০০ কোটি ডলারেরও বেশি। সেখান থেকে তিনি শতকরা ৮ ভাগ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার প্রতি এর আগে প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মী আরও কিছু করার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
তারা এ জন্য প্রকাশ্যে ওয়াকআউট করেছেন। কেউ কেউ প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি বড় অংকের অর্থ দেয়ার ঘোষণা দিলেন। এখানে উল্লেখ্য, মহাকাশ বিষয়ক কর্মসূচি ব্লু অরিজিন-এ অর্থায়ন করছেন জেফ বেজোস। এ জন্য তাকে ব্যাপক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। কিছু বিলিয়নিয়ারের সঙ্গে তুলনা করলে সমাজ হিতৈষী কাজে জেফ বেজোসের অবদান সীমিত। সোমবার তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় অংকের যে অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তার আগে সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছেন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। সে সময় গৃহহীন পরিবার ও স্কুলের তহবিলে তিনি দান করেছিলেন ২০০ কোটি ডলার। ‘গিভিং প্লেজ’ নামের একটি ইস্যুতে স্বাক্ষর না করার কারণে তার সমালোচনা করা হয়। গিভিং প্লেজের অধীনে সুপার-ধনীরা এই প্রতিশ্রুতি দেন যে, তারা তাদের সম্পদের অর্ধেক জীবদ্দশায়ই দান করে যাবেন।