দুর্নীতির এক মামলায় মো. জুয়েল রানার পরিবর্তে মো. আবদুল কাদের নামে অপর এক ব্যাক্তি সাজা খাটছেন বলে অভিযোগ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। এ ঘটনায় হাইকোর্ট বিষয়টি অনুসন্ধান করে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার পুলিশ সুপার, এসবি, বরিশাল পুলিশ সুপার, দুদকের লিগ্যাল এন্ড প্রসিকিউশন বিভাগের পরিচালককে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদন শুনানিতে এই আদেশ দেন। আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মোতাহার হোসেন সাজু। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম আবদুর রউফ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, প্রকৃতপক্ষে সাজা খাটা আসামি মো. জুয়েল রানা নয়, তিনি হলেন মো. আবদুল কাদের। জেল খাটা আসামির পক্ষে জন্ম সনদ, ওয়ারিশ সনদপত্র, এস এস সি ও এইচ এস সি সার্টিফিকেট, ষ্টাম্প ভেন্ডারের সনদ ও গার্মেন্টসে চাকুরির প্রত্যায়ন পত্র দাখিল করা হয়েছে।
নথি থেকে জানা যায়, গত ২০০৮ সালের ১১ই আগস্ট ভূয়া ও জাল ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৫ টাকা ইউসিবিএল ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াহিদ শাহবাগ থানার মামলা করেন।
মামলায় মোট এজাহার ভুক্ত আসামি ছিলেন ৭ জন। সেখানে মো. জুয়েল রানা ছিলেন ৫ নং আসামি। পরবর্তীতে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন তদন্ত করে ২০০৯ সালের ১লা এপ্রিল অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২০শে ডিসেম্বর মামলার সাক্ষী গ্রহন শেষে ঢাকার ৩নং বিশেষ জজ আদালত ৫ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বৎসর করে সশ্রম কারাদ- ও ৪০ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেন। এতে মো. জুয়েল রানারও সাজা হয়। মো. জুয়েল রানা বিচার প্রক্রিয়ায় অনুপস্থিত ছিল । পরবর্তীতে গত ২০১৭ সনের ১৮ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।