× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভালোবাসা দিবসে তিন বন্ধু মিলে রাতভর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার

খুলনার দিঘলিয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে তিন বন্ধু। এ ঘটনায় গত সোমবার বিকালে দিঘলিয়া থানায় ধর্ষণ মামলার পর পুলিশ শাহিন (২৬) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। অসুস্থ ওই স্কুলছাত্রীকে সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, দিঘলিয়ার চন্দনিমহল এলাকায় একই বাড়ির ভাড়াটিয়া শরিফুল ইসলাম (৩০) বিভিন্ন সময়ে কৌশলে ওই মেয়ের আপত্তিকর ছবি তোলে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বাড়ি থেকে শরিফুলকে বের করে দেয়া হয়। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি (ভালোবাসা দিবসে) শরিফুল মোবাইল ফোনে স্কুলছাত্রীকে ওইসব ছবি ফেরত দেয়ার কথা বলে ফুলবাড়ীগেট এলাকায় ডেকে নেয়। সেখান থেকে চন্দনিমহলে শরিফুলের নতুন ভাড়া বাসায় নিয়ে মেয়েটিকে শরিফুলসহ তার দুই বন্ধু শাহিন এবং কাজল সারারাত.ধর্ষণ করে। পরের দিন ১৫ই ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের জানালে তারা শরিফুলের সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করেন।
কিন্তু একটি পক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কালক্ষেপণ করে। এরই মধ্যে সোমবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়েটিকে নিয়ে স্বজনরা দিঘলিয়া থানায় হাজির হয়। পরে মেয়েটির আত্মীয় (পিসি) বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলা নং-০৪ (তারিখ ১৭/০২/২০ইং)। পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে হেফাজতে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। তবে ধর্ষণের দৃশ্য  ধারণকারীকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে ভিডিওটি গায়েব করে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র বলেছে, ১৪ই ফেব্রুয়ারি দৌলতপুরে ফুপুর বাড়ি থেকে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় চন্দনীমহল এলাকার শাহিন, তার বন্ধু কাজল ও তাজুল মল্লিক। বিভিন্ন স্থানে বেড়ানোর পর রাতে শাহিন ও তার বন্ধুরা চন্দনীমহল এলাকার শরিফুলের বাড়িতে নিয়ে মেয়েটিকে রাতভর ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে শরিফুল। পরে তাকে কাটাবন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে সোমবার বিকালে থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় শাহিন, কাজল ও তাজুলের নাম থাকলেও রহস্যজনকভাবে শরিফুলের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। শাহিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে শরিফুলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন। পরে বলেন, তদন্তে দেখা যাবে কে কে জড়িত রয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর