নোয়াখালীতে যুবলীগের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ কর্মী হাসান নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী জানায়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, মাদক ও চাঁদাবাজির জের ধরে ২ পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে আহত যুবলীগ কর্মী মো. হাসান (২৪) মারা গেছেন। ১৭ই ফেব্রুয়ারি রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার নদার্ণ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত হাসান শরীফপুর ইউনিয়নের উত্তর শরীফপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ই ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে ইয়াবা নেটের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শরীফপুর গ্রামের জয়নাল আমিনের বাড়ি এলাকায় সম্রাট ও কসাই পেটকাটা সুমন বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সুমন প্রকাশ খালাসি সুমনের লোকজন সম্রাটের অনুসারি হাসানকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকার নদার্ণ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের মামা এমাম হোসেন জানান, মাদক, অস্ত্র ও ডাবল মার্ডার মামলার আসামী সন্ত্রাসী সুমন ও তার ক্যাডাররা হাসান কে গুলি করে পুরো শরীরে কুপিয়ে ২৫টি জখম করেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে তাকে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় নেয়া হয়েছিল। সোমবার ঢাকাতে তার মৃত্যু হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে জানান, বোচাগঞ্জে চোরাকারবারিদের দু’গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে ১৯ মামলার আসামি চোরাকারবাফর ও মাদক ব্যবসায়ী সাবেক পৌর কাউন্সিরল আইয়ু্ব আলী ওরফে আইয়ুব পকেটমার (৫৫) নিহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টায় বোচাগঞ্জ উপজেলার রনগাঁও ইউনিয়নের হাটরাম শালবাগান এলাকায়। নিহত আইয়ুব আলী বোচগঞ্জ উপজেলার রেল কলোনি এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি সেতাবগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান সুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি অবিস্ফরিত ককটেল, ২টি লোহার হাসুয়া, ২টি জিপারে ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন, দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বোচাগঞ্জ উপজেলার বনগাঁও ইউনিয়নের হাটরামপুর শালবাগান এলাকায় বিশেষ অভিযানে যায়। সে সময় তারা শালবাগানের ভিতরে গোলাগুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থলে উপস্থিল হয়। এসময় মাদক কারবারিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পায়। পুলিশ ও স্থানীয়দের জানমালের রক্ষায় পুলিশ ৭ রাউন্ড ফাকা গুলি করলে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে যায়। পরে শালবাগানের মাঝখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দ্রত পুলিশের পিকআপে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত আইয়ুর একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারী। আইয়ুব আলী ১৯টি মামলার আসামি বলেও জানান ডিবি ওসি এটিএম গোলাম রসুল।