× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গচ্চা যাবে সরকারের কোটি টাকা /চারঘাট ড্রেন নির্মাণে সমন্বয়হীনতা

বাংলারজমিন

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার

বানেশ্বর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত অঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ কাজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। গত মঙ্গলবার একনেক সভায় এই প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। রাজশাহীর বানেশ্বর থেকে সারদা, চারঘাট, বাঘা ও লালপুর হয়ে ঈশ্বরদী (জেড-৬০০৬) পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ করা হবে। জেলা মহাসড়ককে আঞ্চলিক মহাসড়কের মানে উন্নীতকরণে ৫৫৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার প্রকল্পটি পাস করা হয়েছে। এদিকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভা। পৌরবাসীর সার্বিক সুযোগ সুবিধা এবং অবকাঠমোর উন্নয়নে প্রায় ১৫২ কোটি টাকার কাজের প্রস্তবনা আছে। ইউজিআইআইপি-৩ এর প্রায় ৩৪ কোটি টাকার কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। যদিও এ কাজ সম্পূর্ণ করার মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
কিন্তু একনেকের সভায় রাস্তা প্রশস্তকরণের প্রকল্পটি পাস হবার পরেও (চারঘাট-বাঘা) সড়কের পাশ দিয়ে নতুন করে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ কাজ করছে চারঘাট পৌরসভা। এতে কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত এসব ড্রেন ও ফুটপাতের ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সরজমিন পৌরসভার সরদহ বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পূর্বের চেয়েও দ্বিগুণ গতিতে (চারঘাট-বাঘা) সড়কের পাশে তৈরি করা হচ্ছে ড্রেন। ওই ড্রেনের পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমির উপর বহুতল ভবনসহ শতাধিক স্থাপনা রয়েছে। সেকল অবৈধ স্থাপনা বহাল রেখেই আঁকা-বাঁকা করে তৈরি করা হচ্ছে ড্রেন। অভিযোগ উঠেছে নির্মাণ কাজ তদারককারী চারঘাট পৌরসভার কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা রক্ষা করতে আঁকা-বাঁকা করে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চারঘাট পৌরসভার প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে সমন্বয় করেই কাজ করছি। তারা আমাদের সরকারি জমির একেবারে শেষ প্রান্ত দিয়ে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ করতে বলেছে। আমরা সেভাবেই করছি। তবে কোনো কোনো জায়গায় সরকারি জমি কম থাকার কারনে ড্রেন আঁকা বাঁকা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসুজ্জোহা বলেন, চারঘাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে সমন্বয় ছাড়া নিজেদের খেয়াল খুশিমত কাজ করছে। পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার নোটিশ দিলেও তারা কর্ণপাত করেননি। বানেশ্বর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্ত হবে ৩৪ ফিট, দুই পাশে ফাঁকা রাখতে হবে আরও ৬ ফিট জায়গা। এতে বর্তমান রাস্তার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি প্রায় ৪০ ফিট জায়গা লাগবে। তাহলে চারঘাট পৌরসভার নবনির্মিত ফুটপাত ও ড্রেনের অনেকটা অংশই ভাঙা পড়বে। সেজন্য আমরা পৌর কর্তৃপক্ষকে সড়কের পাশে যেকোনো বড় স্থাপনা নির্মাণ করতে আপাতত নিষেধ করেছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর