পিস্তলের ভয় দেখিয়ে আকাশ থেকে পলাশ আহমেদ নামে এক যুবকের বিমান ছিনতাই চেষ্টা পুরো জাতিকে হতবাক করেছিল। এরপর একাধিক ব্যক্তি পিস্তল নিয়ে প্রবেশের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তাই সব ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক শনাক্তে দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক বডি স্ক্যানার ‘প্রোভিশন ২’। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপনের জন্য অত্যাধুনিক বডি স্ক্যানারটি পরীক্ষামূলকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় সোমবার রাতে। মঙ্গলবার সকালে পর্যবেক্ষণের বিষয়ে শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান বলেন, স্ক্যানারটি অত্যাধুনিক। এতে প্রবেশ করলেই একজন যাত্রীর জামাকাপড় বা শরীরের ভেতর লুকিয়ে রাখা যে কোনো ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক শনাক্ত করা যাবে। মেটালিক, নন-মেটালিক, উয়েপন্স, স্ট্যান্ডার্ড ও হোম মেড বিস্ফোরক (শিট ও বাল্ক), লিকুইডস, জেলস, প্লাস্টিকস, পাউডারস, সিরামিক এতে ধরা পড়বে। একজন যাত্রীকে স্ক্যান করতে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই সেকেন্ড।
জাইকার অর্থায়নে ঢাকার শাহজালাল, সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ স্ক্যানারটি স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান।
তিনি বলেন, শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে আকাশে উড়াল দেয়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে পিস্তল ও বোমা সদৃশ্য বস্তু দেখিয়ে ছিনতাই চেষ্টা করে পলাশ আহমেদ নামে এক যুবক। যদিও পরে দেখা যায় ছিনতাই চেষ্টার সে পিস্তলটি খেলনার।
এছাড়া তল্লাশির পরও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং ফুলসর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ হোসেনের পিস্তল ধরা না পরার ঘটনা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এসব ঘটনায় নড়েচড়ে বসে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সনাক্ত করতে অত্যাধুনিক এই বডি স্ক্যানার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়।