× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী /মোদি আসছেন, ঢাকা ঘুরে গেল অগ্রবর্তী দল

প্রথম পাতা

মিজানুর রহমান
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৭ই মার্চ ঢাকার অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকছেন তিনি। মোদি আসছেন এমন ঘোষণা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আগেই দিয়েছিলেন। দিল্লির সংবাদ মাধ্যমও এ বিষয়ে রিপোর্ট করেছিল। রেওয়াজ মতে, সেগুনবাগিচা এবং দিল্লির সাউথ ব্লকের তরফে এমন হাই প্রোফাইল সফরের যৌথ ঘোষণা আসে, যা এখনও আসেনি। ঢাকা বলছে, এতদিন বিষয়টি আলাপ-আলোচনার পর্যায়ে ছিল। সময়ক্ষণ এবং কর্মসূচির অনেক কিছু এখনও ঠিক হয়নি। তবে সফরটি হচ্ছে তা স্পষ্ট এবং তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত হচ্ছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিযুক্ত কর্মকর্তাদের ঢাকা সফর।
তারা এখানে নীরবে দুদিন কাটিয়ে গেছেন। ওই সময়ে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের সিরিজ বৈঠক হয়েছে। মোদি যেসব স্থানে যাবেন, তার সফরে যে সড়কগুলো ব্যবহৃত হবে এবং যে হোটেলে তিনি অবস্থান করবেন তার প্রায় সব কিছুই অগ্রবর্তী দলের সদস্যরা পরখ করে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন। তারা ভেন্যুগুলো সরজমিন ঘুরে দেখেছেন।

বাংলাদেশ সফরের কর্মকর্তারা বলছেন, কেবল বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর আয়োজন বলেই নয়, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরটির খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের শীতলতা প্রশ্নে কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে যে বিতর্ক চলছে সেটির অবসানে ওই সফর বাস্তবায়ন হবে গুরুত্বপূর্ণ। মোদির অত্যাসন্ন ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লির প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের মূল্যায়ন হচ্ছে-এ সফর হবে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে দিল্লির আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। পত্রিকাটি লিখেছে, এমন এক সময়ে মোদি ঢাকা সফর করছেন, যার কিছুদিন আগেই ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) পাস হয়। ওই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে গিয়ে বসবাস করা সব অমুসলিমকে দেশটির নাগরিকত্ব দেয়ার অঙ্গীকার করা হয়। এতে ভারতের বহু মুসলিম দেশহীন হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ আইনকে কেন্দ্র করে ঢাকা-নয়াদিল্লির সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করে হিন্দুস্তান টাইমস। পত্রিকাটি আরও লিখেছে, গত ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে সিএএ পাস হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের তিন মন্ত্রী বিভিন্ন কারণে ভারত সফর বাতিল করেন। ২০ জানুয়ারি গালফ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি না সিএএ’র প্রয়োজন ছিল! তবে একই সঙ্গে তিনি এটিকে ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলেও উল্লেখ করেন। তবে সমালোচনা যাই থাকুক না কেন- সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল প্রতিনিধি দৃঢ়তার সঙ্গে যেটা বলেন তা হলো- ভারতের বিতর্কিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব আইন সত্ত্বেও ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক এখনও বেশ মজবুত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর