তিন মাস আগে স্ত্রী নাজমা আক্তারকে তালাক দেন সাদ্দাম হোসেন। বিয়ের সময় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিলেও তালাকের সময় ৮০ হাজার টাকা নাজমাকে ফেরত দেয় সাদ্দাম। কিছুদিন পর ওই টাকা ফেরত নিতে আবারও নাজমার পরিবারকে চাপ দেয়। কিন্তু টাকা দিতে রাজি না হলে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে আনে সাদ্দাম। হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে। সোমবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির পাশের গাছে নাজমার মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে নাজমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নাজমা আক্তার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোয়ালকারী গ্রামের নাজমুল হকের মেয়ে। নাজমার নয় মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

নাজমার মামা শামসুল হক বলেন, প্রায় দুই বছর আগে সদর উপজেলার রহিমানপুর খালপাড়া গ্রামের বাবুর ছেলে সাদ্দামের সঙ্গে বিয়ে হয় নাজমার। তিন মাস আগে সাদ্দামের সঙ্গে নাজমার তালাক হয়। বিয়ের সময় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিলেও তালাকের সময় ৮০ হাজার টাকা নাজমার পরিবারকে ফেরত দেয়। মেয়েকে দেখার কথা বলে নাজমাকে ১৫ই ফেব্রুয়ারি বাড়িতে নিয়ে যায় সাদ্দাম। এরপর নাজমার পরিবারকে ৮০ হাজার টাকার জন্য চাপ দেয়। টাকা দিতে রাজি না হলে সোমবার রাতে নাজমাকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে। খবর পাওয়ার পর সাদ্দামের বাবা বাবুকে আটক করে পুলিশ। এ সময় সাদ্দাম পালিয়ে যায়।

সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাকিলা বলেন, নাজমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।