পদ্মায় ইলিশ শিকারকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর চারঘাট সীমান্তে গেল বছরের ১৭ই অক্টোবর বিজিবি-বিএসএফ মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করে বিএসএফ। বিজিবিও পাল্টা নজরদারি বসিয়েছে সীমান্তে। ফলে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পর থেকে বিজিবি চেষ্টা করছিল দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা হোক। গত ২১ শে জানুয়ারি শিবগঞ্জের শিংনগর সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডার পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে সম্পর্ক সুদৃঢ় এবং সীমান্তে হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেয় বিএসএফ। তবে সেই প্রতিশ্রুতির পরও থামছেই না সীমান্ত উত্তেজনা। এরই মধ্যে বুধবার রাজশাহী সীমান্তের সোনাইকান্দি বিওপির ওপারে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক থেকে দ্বিতীয় দফায় সীমান্তে হত্যা বন্ধের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএসএফ।
বিএসএফের বহরমপুর সেক্টরের ডিআইজি কুনাল মজুমদারের নেতৃত্বে ৩৫ ব্যাটেলিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
আর বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন রাজশাহী সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল তুহিন মাসুদ।
বৈঠকে রাজশাহী অঞ্চলে বিএসএফ’র গুলিতে হতাহতের সংখ্যা উদ্বেগজনকহারে বেড়েছে বলে বিএসএফ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, গেল একমাসে নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৯ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। যা অনাকাঙ্খিত।
বৈঠকে গত ৩১ শে জানুয়ারি পবা উপজেলার সোনাইকান্দি বিওপি এলাকার পদ্মা থেকে ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা করা হয়। বিএসএফ কমান্ডারকে বিজিবি কমান্ডার জানান, বাংলাদেশের ভেতরে পদ্মা নদীতে স্পীডবোট করে তেড়ে এসে তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার ফুটেজও দেখানো হয় বিএসএফকে।