× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একজন দিয়ে চলছে কমলনগর হিসাবরক্ষণ অফিসের কার্যক্রম

বাংলারজমিন

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

 লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা সৃষ্টির পর থেকে মাত্র একজন লোক দিয়ে চলছে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কার্যক্রম। এতে করে সেবা গ্রহীতারা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস একটি জনগুরুত্বপূর্ণ অফিস। প্রতিদিন শত শত লোক তাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য বিল অনুমোদনসহ বিভিন্ন কাজে এ অফিসে আসতে হয়। এ অফিসে ৭ জন লোক থাকার কথা কাগজে কলমে থাকলেও মাত্র একজন অডিটর দিয়ে চলছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ অফিসের কার্যক্রম। তিনি এসব বিল প্রস্তুত ও ছাড় করতে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আবার বিভিন্ন সময়ে বন্ধের দিনেও তাকে কাজ করতে দেখা যচ্ছে। এর পরও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা এবং ব্যহত হচ্ছে নানামুখী সেবা।
জানা যায়, উপজেলার এ অফিসে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা একজন, অডিটর একজন, জুনিয়র অডিটর দুইজন, কম্পিউটার অপারেটর একজন, সুপার এসএএস একজন  ও অফিস সহায়ক একজনের পদ রয়েছে। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা অছেন অতিরিক্ত দায়িত্বে। জেলা একাউন্ট অফিসের মূল দায়িত্বে আছেন তিনি। মাঝে মধ্যে তিনি সময় পেলে আসেন। আর অডিটর মো. মহিউদ্দিন একাই সকল কার্যক্রম করেন। সকল পদের কাজ তাকে একাই সমাধান করতে হয়। উপজেলার হিসাবরক্ষণের সকল কাজ সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না একজন অডিটর দিয়ে। ফলে তিনি চরম হিমশিম খাচ্ছেন সেবা গ্রহীতাদের সেবা নিশ্চিত করতে। এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বিল সংক্রান্ত ফাইল হিসাবরক্ষণ অফিসে নিয়ে গেলে ওই অফিসে লোকবল সংকটের কারণে একদিনে বিল উত্তোলন করা সম্ভব হয় না। ফলে দিনের পর দিন আমাদের দাপ্তরিক কাজ ফেলে রেখে ফাইলের পিছনে ঘুরতে হয়। এটা আমাদের জন্য খুবই পীড়াদায়ক। এ ব্যাপারে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ৬ জনের কাজ আমার একা করতে হয়। শত কষ্টের পরও গ্রাহকদের যেন ভোগান্তি পোহাতে না হয় এ জন্য অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছি এবং সকলের বিল ফাইল যত দ্রুত সম্ভব ছাড় দেয়ার চেষ্টা করি। কমলনগর উপজেলা একাউন্ট কর্মকর্তা (অ.দা.) গোলাম হায়দার ভূঁইয়া বলেন, প্রতি মাসে জনবল সংকটের রিপোর্ট আমারা ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করি। তারপরও জনবল সংকটের কোনো সমাধান হয়না। লোকজন কম হলেও জনগনের সেবা দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়িত। কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ বাপ্পী জানান, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ হলো এ একাউন্ট অফিস। এ অফিসের জনবল সংকট দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে উপজেলার সমন্বয় মিটিংয়ে আলোচনা হলেও কোনো সমাধান হয় না। জনবল সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন মহল দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।  জনগুরুত্বপূর্ণ এ অফিসে দ্রুত শূন্যপদগুলোতে লোকবল নিয়োগ দিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর