× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পিয়াজে স্বপ্ন বুনছে কৃষক মনসুর

বাংলারজমিন

এম সাইফুর রহমান, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) থেকে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

 নাগেশ্বরীতে প্রায় ১২ বিঘা জমিতে পিয়াজ চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কৃষক মনছুর আলম। আর এই পিয়াজ চাষে সাফল্যের স্বপ্ন বুনছেন তিনি। তবে পিয়াজের দাম ও ক্ষেতের রোগ বালাই নিয়ে শঙ্কাও রয়েছে তার। এজন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। কৃষক মনছুর আলী জানায়, তিনি একজন হোটেল ব্যবসায়ী। তার বাড়ী পার্শ্ববর্তী ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝার গ্রামে। স্থানীয় আন্ধারীঝার বাজারে তার একটি হোটেলের দোকান রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ কেজি পিয়াজের প্রয়োজন হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে লাগামহীন দামে পিয়াজ কিনে ব্যবসায় ক্ষতির মুখে পড়েন তিনি। তাই এবার হোটেলের কাজে লাগানোর জন্য এবং বাড়তি আয়ের জন্য বাণিজ্যিকভাবে পিয়াজের চাষ করেছেন। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের রায়চান্দারপাড় হাজীপাড়া গ্রামে ৮ বিঘা জমিতে পিয়াজ লাগিয়েছেন মনসুর। এখনও সেখানে পিয়াজের চারা রোপণের কাজ করছেন কৃষি শ্রমিকরা। তিনি জানান, কারো পরামর্শ ছাড়াই পিয়াজ চাষে আগ্রহী হয়েছেন। তাই চারা উৎপাদনের জন্য আধা বিঘা জমিতে বীজ বপন করে সে চারা দিয়ে দুই বিঘা জমিতে পিয়াজের চাষ শুরু করেন। পরে কুষ্টিয়া থেকে প্রতি হাজার চারা ২শ’ টাকা দরে এনে আরও প্রায় ১০ বিঘা জমিতে পিয়াজ লাগিয়েছেন। এর মধ্যে রামখানা ইউনিয়নের আজমাতা এলাকায় ৪ বিঘা জমিতে যৌথভাবে চাষ করছেন মরিচ ও পিয়াজ। এছাড়াও প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে চাষ করেছেন অন্যান্য শাক-সবজি। প্রতি বিঘা জমি লিজ নিয়েছেন বছরে ৭ হাজার টাকায়। আর এসব ক্ষেতে দৈনিক ৩শ’ টাকা মজুরিতে কাজ করে আয়ের সুযোগ পেয়েছন ১০ থেকে ১৫ জন কৃষি শ্রমিক। এজন্য অনেক খুশি তারাও। তবে পিয়াজ উৎপাদনের পর সঠিক দাম পাবেন কি না এ নিয়েও শঙ্কাও কম নয় ওই কৃষকের। শুধু তাই নয় ক্ষেতের রোগ বালাই হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ার আসঙ্কায় হতাশ তিনি। তবে এ বছর পিয়াজ চাষে লাভবান হলে আগামীতে ব্যাপকভাবে চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে তার। উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুজ্জামান বলেন, এ বছর ২৪০ হেক্টর জমিতে পিয়াজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা অতিক্রম করে অর্জিত হয়েছে ৫৩০ হেক্টর জমিতে। তবে আমাদের কৃষি অফিস থেকে পিয়াজ চাষে কৃষকদেরকে সার, বীজ দেয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে এবং ক্ষেতের রোগ বালাই দমনে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর